পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه(le মারিতে যান, তাহারও ইতিহাস লিখিত হয়, কিন্তু বাঙ্গালার ইতিহাস নাই। গ্রীণলণ্ডের ইতিহাস লিখিত হইয়াছে, মাওরী জাতির ইতিহাসও আছে, কিন্তু যে দেশে গৌড়, তাম্রলিপ্ত, সপ্তগ্রামাদি নগর ছিল, যেখানে নৈষধচরিত ও গীতগোবিন্দ লিখিত হইয়াছে, যে দেশ উদয়নাচাৰ্য্য, রঘুনাথ শিরোমণি ও চৈতন্যদেবের জন্মভূমি, সে দেশের ইতিহাস নাই । * * * বাঙ্গালার ইতিহাস চাই। নহিলে বাঙ্গালী কথন মানুষ হইবে না। যাহার মনে থাকে যে, এই বংশ হইতে কখন মামুষের কাজ হয় নাই, তাহা হইতে কখন মানুষের কাজ হয় না। তাহার মনে হয়, বংশে রক্তের দোষ আছে । তিক্ত নিম্ব বৃক্ষের বীজে তিক্ত নিম্বই জন্মে—মণকালের বীজে মাকালই ফলে । যে বাঙ্গালীর মনে জানে যে, আমাদিগের পূৰ্ব্বপুরুষ চিয়কাল দুৰ্ব্বল—অসার, আমাদিগের পূৰ্ব্বপুরুষদিগের কখন গৌরব ছিল না, তাহারা দুৰ্ব্বল, অসার, গৌরবশূন্ত তিন্ন অন্ত অবস্থা প্রাপ্তির ভরসা করে না—চেষ্টা করে না । চেষ্টা ভিন্ন সিদ্ধিও হয় না।” মেদিনীপুর বঙ্গের একট প্রধান জেলা বলিয়া পরিগণিত হইলেও অসাড় ও নিশ্চেষ্ট বলিয়। এই জেলার একটা অখ্যাতি বহুদিন হইতে চলিয়া আসিতেছে। কেন যে মেদিনীপুরের এইরূপ দুর্নাম হইল তাহ নির্ণয় করা সুকঠিন। মেদিনীপুরের প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস আলোচনা কয়িলে বরং তাহার বৈপরীত্যই পরিলক্ষিত হয়। প্রাচীনকালের তাম্রলিপ্ত নগর এই মেদিনীপুর জেলাতেই ছিল। এই জেলার ট্রাতন নগর বৌদ্ধযুগের সেই মহাসমৃদ্ধিশালী দন্তপুর নগরেরই হীন পরিণতি। মধ্যযুগে এই প্রদেশেরই এক রাজপুত্র উৎকল জর করিয়া তখায় বাঙ্গালীর বিজয় পতাকা উড্ডীন করিয়াছিলেন। কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম এই জেলারই এক রাজার আশ্রয়ে থাকিয় তাহার মনোহর