পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
মেদিনীপুরের ইতিহাস।

 এই মহকুমার প্রধান নগর তমলুক রূপনারায়ণ নদীর পশ্চিমতীরে অবস্থিত। কলিকাতা হইতে ইহার দূরত্ব প্রায় ৪০ মাইল। ইহার তমলুক সহর। অক্ষাংশ ২২° ১৭' ৫০” উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৭° ৫৭' ৩০” পূর্ব্ব। এই মহকুমার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত প্রভৃতি ও দাতব্য চিকিৎসালয় তমলুক সহরেই প্রতিষ্ঠিত। পূর্ব্বে এই মহকুমার অন্তর্গত মছলন্দপুর গ্রামে একটি মুন্সেফী আদালত ছিল, ১৮৩২ খৃষ্টাব্দে উহা নিকাশী গ্রামে উঠিয়া যায়। পরে আবার উহা তথা হইতে তমলুকে পুনরানীত হইয়াছে। এই মহকুমার অন্তর্গত প্রতাপপুর গ্রামেও একটি মুন্সেফী আদালত ছিল। ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে উহা উঠাইয়। দেওয়া হয়।

 তমলুক মহকুমার অন্তর্গত মহিষাদল গ্রামের নাম উল্লেখ যোগ্য। মহিষাদলে তত্রত্য রাজায় গড়বাড়ী, তাঁহাদের প্রতিষ্ঠিত বহু দেব-দেবীর তমলুক মহকুমার অন্যান্য স্থান। মন্দির, সুবৃহৎ সরোবরাদি এবং একটি দাতব্য চিকিৎসালয় আছে। তমলুক মহকুমার অন্তর্গত গোঁওখালী ও নন্দীগ্রামেও এক-একটি দাতব্য চিকিৎসালয় বিদ্যমান। এই অঞ্চলে পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, গেওখালী, হরিখালী, তেরপেখিয়া ও কুঁকড়াহাটীর বাজার প্রসিদ্ধ। এই কয়টী বাজার হইতেই ঐ অঞ্চলে নানাপ্রকার দ্রব্যাদি আমদানী ও রপ্তানী হইয়া থাকে। কুঁকড়াহাটীতে গভর্ণমেণ্টের একটি খাসমহাল কাছারী আছে। তমলুক মহকুমার স্থানে স্থানে উৎকৃষ্ট মাদুর ও বস্ত্রাদি প্রস্তুত হয়। তমলুকের মশারির থান প্রসিদ্ধ। এই মহকুমার অন্তর্গত কেলোমাল,


    Orissa form the traditional articles of export from ancient Tamłuk.”

    Hunter's Orissa Vol. I. p. 313.