পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
মেদিনীপুরের ইতিহাস।

কাপড়ের আমদানী হওয়ায় দেশীয় কাপড় প্রতিযোগিতায় বিলাতী কাপড়ের সমকক্ষ হইতে না পারাতে ঐ সকল তাঁতির অধিকাংশই এক্ষণে জাতীয় ব্যবসা ত্যাগ করিয়া কৃষিকার্য্য অবলম্বন করিয়াছে। তথাপি এখনও ঐ সকল স্থানের প্রস্তুত কাপড় অনেক স্থানেই প্রেরিত হইয়া থাকে।

 ঘাটাল মহকুমার নানা স্থানে রেশমের বস্ত্রাদিও প্রস্তুত হয়। প্রতি বৎসর ঐ সকল স্থান হইতে অন্যূন ২০,০০০ পাউণ্ড রেশম উৎপন্ন হইয়া থাকে।[১] চন্দ্রকোণা, রামজীবনপুর, ঘাটাল ও খড়ারের কাঁসা ও পিত্তলের বাসন প্রসিদ্ধ। মাননীয় কামিং (Hon. Mr. J. G Cumming C.S.I., C.I.E., I.C.S.) সাহেবের রিপোর্ট হইতে জানা যায় যে, সমস্ত বঙ্গদেশের মধ্যে যে সকল স্থলে কাঁসা ও পিত্তলের বাসন প্রস্তুত হইয়া থাকে, তন্মধ্যে মেদিনীপুর জেলায় এই ব্যবসাটি বিশেষ শৃঙ্খলা ও সুপ্রণালীর সহিত পরিচালিত হইতেছে। এই স্থানের ব্যবসায়িগণ বিশেষ সঙ্গতিপন্ন; তাঁহারা ষ্টেট সেটেলমেণ্ট, জাপান প্রভৃতি স্থান হইতে টীন,তামা, ইত্যাদি ধাতু সম্ভবমত সুলভ দরে প্রচুর পরিমাণে কিনিয়া আনিতে পারেন বলিয়। এই ব্যবসায়ে বিশেষ লাভবান হইতে পারিয়াছেন। বস্তুতঃ তাঁহারা ব্যবসাটিও বিশেষ নিপুণতার সহিত চালাইতেছেন। এক এক জন ব্যবসায়ীর কারখানায় শতাধিক ব্যক্তি কার্য্য করিয়া থাকে। খড়ার সহরের মোট অধিবাসীর সংখ্যা প্রায় নয় হাজার; তন্মধ্যে প্রায় চারি হাজার লোক এই ব্যবসা দ্বারা জীবিকা নির্ব্বাহ করে।[২] কামিং সাহেব লিখিয়াছেন যে, খড়ার কাঁসার থালা


  1. Review of the Industrial Position and Prospects in Bengal in 1908 part II. p. I4.
  2. Industrial Position and Prospects in Bengal p. 25.