পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক বিবরণ। ۹ وا আবার কেহ কেহ তাম্রলিপ্ত’ বা তমোলিপ্ত’ নামের অন্ধকারাচ্ছন্ন qi offzol erfgws ( Gat:=darkness or sin eqqs fję=soiled ) অর্থ করিয়াছেন। কিন্তু এই সকল নাম কাহাদের দ্বারা রক্ষিত হইয়াছিল, তাহ এক্ষণে নির্ণয় করা সুকঠিন । মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী মহাশয় তাম্রলিপ্ত নামের কি অর্থ করেন, তাহ পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি। সম্ভবতঃ দামল-জাতির প্রাধান্ত ছিল বলিয়া সে সময়ে এই স্থান ‘দামলিপ্ত’ বা ‘দামলিপ্তি’ ঐরূপ কোন একটা নামে পরিচিত ছিল । আর্য্যগণ র্তাহীদের সভ্যতায় ঈর্ষাপরবশ হইয়া দামলিপ্তকে ঘূণাস্থচক তযোলিপ্ত নামে পরিণত করিয়া থাকিবেন। পরে যখন সেই তমোলিপ্তে’ আবার নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হইল, তখন র্তাহার। আপনাদিগের প্রদত্ত অপবিত্র অর্থসূচক নাম তমোলিপ্তেরও পবিত্র অর্থ প্রদানে পরায়ুখ হয়েন নাই। তাহাতেই লিখিয়াছেন, “বিষ্ণু যখন কবিরূপ ধারণ পূর্বক অসুরগণকে ধ্বংস করেন, সেই সময়ে যুদ্ধশ্রমে তাহার শরীর হইতে ঘৰ্ম্ম বিগলিত হইয়া এই স্থানে পতিত হয় ; দেবশরীর-নির্গত ক্লেদম্পর্শে তমোলিপ্তের পবিত্রতা সম্পাদিত হইয়াছে।” * এইজন্য ইহার এক নাম ‘বিষ্ণুগ্ৰহ । সম্ভবতঃ এই অসুরগণ সেই দ্রবিড় বা দামল-জাতি এবং তাহাদের পরাজয়ের পর হইতেই দামলিপ্তি বা তমোলিপ্ত, তাম্রলিপ্তি বা তাম্রলিপ্ত নাম পরিগ্রহ করিয়াছে। চৈনিক পরিব্রাজকগণের উচ্চারণের পার্থক্যে তাম্রলিপ্ত, তাম্রলিপ্তি প্রভৃতি শব্দই তাহীদের গ্রন্থে বিকৃত রূপ ধারণ করিয়াছে । মহাভারতের অনেক স্থানেই তাম্রলিপ্ত ও সুহ্মদেশের নামে Hunter's Orissa vol. I. p. 311. www.w tsotto, o ox i