পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক বিবরণ। ఆసి বক প্রতিদিন এক একটি মনুষ্যকে বধ করিয়া আহার করিত। এই রাক্ষসের সহিত ভীমসেনের যুদ্ধ হয় ; ভীম গহর পৃষ্ঠদণ্ড ভঙ্গ করিয়া দেন, তাহারই ফলে বকের পঞ্চভূপ্রাপ্তি ঘটে । জনশ্রুতি এইরূপ যে, এই জেলার অন্তর্গত বগড়ী পরগণায় বক-রাক্ষসের অধিকার ছিল । ‘বক৬িহি’ বা বক-রাক্ষসের স্থান, এই অর্থেই বকডিহির অপভ্রংশে বগড়ী নাম হইয়াছে। ঐ স্থানে কৃষ্ণনগর নামে একটি প্রাচীন গ্রাম আছে ; বগড়ী প্রসিদ্ধ কুঞ্চরায়জাউর মূৰ্ত্তি ঐ গ্রামেই বিদ্যমান। ঐ গ্রামের অনতিদূরে একচক্র বা এখনকার একারিয়া গ্রামটি অবস্থিত। পাণ্ডবগণ জননী কুন্তীদেব সহ এই গ্রামের যে স্থানে অবস্থিতি করিয়াছিলেন, লোকে অদ্যাপি তাহ দেখাইয়া থাকে । ইহারই প্রায় এক মাইল দক্ষিণে ভিকনগর নামে আর একটি গ্রাম আছে। কিংবদন্তী আছে, পাণ্ডবগণ এই গ্রাম হইতেই প্রতিদিন তাহাদের আহাৰ্য্যদ্রব্যাদি ভিক্ষা করিয়া আনিতেন। অধিকন্তু বগড়ী পরগণার মধ্যে শিলাবতী নদীর দক্ষিণে গড়বেত। যাইবার পথে এক্ষণে ‘গনগনির ডাঙ্গা' নামক যে সুবিস্তীর্ণ প্রান্তরটি দৃষ্টিগোচর হয়, ঐ স্থানেই ভীমসেনের সহিত যুদ্ধে বকের পঞ্চভূপ্রাপ্তি ঘটে । এই কিংবদন্তীর পোষকতা করিয়া, ঐ প্রাস্তরে অতি প্রাচীনকাল হইতে প্রোথিত অস্থি-তুল্যাকার কতকগুলি সুবৃহৎ পদার্থকে লোকে বকরাঙ্কসের অস্থিখণ্ড বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকে । কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সেগুলির সহিত বক-রাক্ষসের বা কোন প্রাণিবিশেবের কোনপ্রকার সম্বন্ধ নটু ; রাসায়নিক পরীক্ষার দ্বারা জানা গিয়াছে যে, সেগুলি অশ্মীভূত www.ts (Fossilized wood) ভিন্ন অক্স কিছু নহে। i - এই জনশ্রুতির মূলে কতটুকু ইতিহাসিক সত্য নিহিত আছে, তাহ