অতঃপর একবার “জয়কার” উলুধ্বনি করিবে। পুনরায় শরন নিয়ম-বিরুদ্ধ হইলেও বালক বালিকাগণ পুনর্ব্বার শয্যার আশ্রয় গ্রহণ করে; যুবতী ও বৃদ্ধাগণ উষাকালে পূজার জন্য পুষ্প চয়ন করেন। প্রত্যুষে পূর্ব্বাহৃত পুষ্করিণীর জল দ্বারা সকলের মুখ প্রক্ষালন করা বিধি। অনন্তর বালক বালিকা ও সধবাগণ পূর্ব্বোক্ত হলুদ প্রভৃতি মশলা দ্বারা শরীর ম্রক্ষণ করিয়া প্রাতঃস্নান করিয়া থাকেন। চোখে কাজল দেওয়ার প্রথাও আছে।
পূর্ব্বাহ্নে লক্ষ্মীপূজা হয়। নৈবেদ্যের প্রধান উপকরণ ভিজানো মুগ, মাষ ও বুট। নারিকেলও দেওয়া যায়। সধবাগণও আমিষ আহার করেন না; সকলেই কলাই বা মুগের ডাল ভাত আহার করেন। পরদিন প্রাতঃকালে বালক বালিকা ও সধবাগণের পর্য্যুষিত অন্ন আহার করা বিধি।
আশ্বিনে রাঁধিয়া কার্ত্তিকে খায়,
যে বর মাগে সেই বর পায়।
পূজান্তে কথা শ্রবণ করিতে হয়।
গাড়শী ব্রত কথা।
এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ পুত্র ও পুত্রবধূ লইয়া সংসার করেন। বৌটী অতি শুদ্ধাচারিণী। তাঁরই পুণ্যের জোরে ব্রাহ্মণ পরম সুখে আছেন, কিছুই অভাব নাই।
আশ্বিন সংক্রান্তির পূর্ব্ব দিবস ব্রাহ্মণ পুকুরে সন্ধ্যা আহ্নিক, করিতে বসিয়াছেন। কিন্তু তাঁর মন অন্যদিকে। এমন সময় অলক্ষ্মী খুব সাজ গোজ ক’রে তার কুরূপ ঢেকে পরম রূপসী বেশে বৃদ্ধ