পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষি-মাহাত্ম্য
৫৯

বালকের ভক্তি দেখে, তিনি তাকে এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের বেশে দেখা দিয়ে বল্লেন, বাছা, আমার কথা শোন। আর পরের গোলামী করা কেন; যাও তুমি এখনি তোমার মামার বাড়ী ত্যাগ ক’রে অই যে খুব দূরে এক প্রকাও মাঠ দেখতে পাচ্ছ সেইখানে কুঁড়েঘর ক’রে চাষ-বাস করগে। তোমার দুঃখ দূর হবে। দা-কোদালে তাই কল্লে। তার পর অগ্রহায়ণ মাস শনিবার, সে ভোরে উঠে দেখলে, তার ক্ষেতে ধান তো নয়, সবই সোণা! ক্ষেত্র দেবতার কৃপায় তখনই তার কুঁড়েঘর রাজ অট্টালিকা হয়ে গেল। দা-কোদালে রাজা হলেন, অট্টালিকায় রাজার হালে বাস কত্তে লাগলেন। তাঁর এখন ঐশ্বর্য্যের সীমা নাই।

 এদিকে, ভাগনে চ’লে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লক্ষী মামাদের ঘর ত্যাগ কল্লেন। তারা ভাতের কাঙ্গাল হয়ে পড়লো। ক্ষেত্র দেবতার কোপে দেশে দারুণ দুর্ভিক্ষ ও জলকষ্ট হলো। দা-কোদালে এখন বড়লোক হলেও গরীবের প্রতি তাঁর বড় দয়া। তিনি অনেক পুকুর কাটাতে লাগলেন। যারা মজুরী কত্তে আসতো তাদের অকাতরে অন্ন দান করতেন। খেতে না পেয়ে তাঁর মামা মামীও অন্নসত্রে এসেছিল। তারা কোদাল হাতে করে পুকুরের কাজে যাবে এমন সময়ে দা-কোদালে তাদের দেখে চিনতে পেয়ে চাকর-বাকরদের হুকুম দিলেন, শীগগির পুরুষ ও স্ত্রীলোক মজুর দু’টীকে স্নান করিয়ে নূতন কাপড় পরিয়ে বাড়ীর ভেতর নিয়ে এস। মামা ও মামী ভয়ে অস্থির। রাজার পুকুরে কি জল হচ্ছে না? রাজ বাড়ীতে তো কালীমন্দির নাই? তাদের মুখ শুকিয়ে গেল। মামা ও মামীকে সঙ্গে