বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেরী কার্পেন্টার - কুমুদিনী মিত্র.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেরী কার্পেণ্টার্।

করিয়াছিলেন, তাহার ভাব এখন হইতে তাঁহার প্রাণে উদিত হয়। পাপে, তাপে, দারিদ্র্যে নিপীড়িত স্বদেশবাসীর দুঃখ দূর করিতে তিনি কৃতসঙ্কল্পা হন। তাহাদের অজ্ঞান-অন্ধকারাচ্ছন্ন শােচনীয় অবস্থা তাঁহার কোমল প্রাণকে বিগলিত করে। তিনি তাঁহার জীবনে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য উপলব্ধি করেন এবং সর্ব্বশক্তিমান্ পরমেশ্বরের নিকট বল ভিক্ষা করিয়া পরার্থে আত্মবিসৰ্জন করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন। কিন্তু কি ভাবে পরের জন্য আত্মােৎসর্গ করিবেন, কোন্ উপায় অবলম্বন করিলে, কি কার্য্য করিলে, তাঁহার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে, তাহা তখনও দেখিতে পান নাই; তথাপি সঙ্কল্প পরিত্যাগ করেন নাই। ঈশ্বরই তাঁহার পথ প্রদর্শন করিবেন, এই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করিয়া তিনি প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। মেরী কার্পেণ্টারের চরিত্রে এই একটি প্রধান গুণ ছিল যে, যাহা একবার মহৎ বলিয়া, সত্য বলিয়া ধরিতেন, শত বাধা, বিপত্তি তাহা হইতে তাঁহাকে বিচলিত করিতে পারিত না। আত্মােৎসর্গের এই ভাবকে সবল করিবার জন্য তিনি এই সময়ে মহৎ জীবনাবলী অধ্যয়ন করেন। ঈশ্বর তাঁহার প্রার্থনা আশ্চর্য্যরূপে পূর্ণ করিলেন এবং জীবনের কার্য্য দেখাইয়া দিলেন।