বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেরী কার্পেন্টার - কুমুদিনী মিত্র.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেরী কার্পেণ্টার্।

চরিত্রকে আদর্শ করিয়াই আপনাকে কর্ম্ম-সমুদ্রে ভাসাইয়া দিয়াছিলেন। তিনি রাজার প্রতি তাঁহার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও প্রগাঢ় ভক্তির নিদর্শনস্বরূপ রামমােহন রায়ের একখানি জীবন-বৃত্ত লিখিয়াছিলেন। মেরী কার্পেণ্টার্ প্রণীত জীবন-বৃত্ত খানি না থাকিলে আমরা রাজার সম্বন্ধে অনেক বিষয়ে অজ্ঞ থাকিতাম।

 ডাক্তার্ টকারম্যান্ ইংলণ্ডে আসিয়া ডাক্তার কার্পেণ্টারের গৃহে অতিথি হয়েন। মেরী ডাক্তার্ টকারম্যান।কার্পেণ্টার্ ডাক্তার্ টকারম্যানের সহিত একদিন কোন দরিদ্র পল্লীর মধ্য দিয়া গমন করিতেছিলেন, এমন সময় একটী অতি দরিদ্র অপরিচ্ছন্ন বালককে তাঁহাদের সম্মুখ দিয়া দৌড়িয়া পলায়ন করিতে দেখিলেন। ডাক্তার টকারম্যান্ বলিলেন,—“এই বালকের পশ্চাদনুসরণ করিয়া ইহার বাসস্থান পর্যবেক্ষণ করিতে হইবে।” তখন তাঁহার এই উপদেশ যদিও কার্যে পরিণত হয় নাই, কিন্তু এই বাক্য মেরী কার্পেণ্টারের হৃদয়ে বিদ্ধ হইয়া গেল, এবং তদবধি জীবনের একটী গুরুতর কর্তব্যের প্রতি মনােযােগ দেওয়া হইতেছে না, এই চিন্তা তাঁহাকে যাতনা দিতে লাগিল। এই চিন্তাই তাঁহার প্রাণে নব আকাঙ্ক্ষা, নব প্রতিজ্ঞা আনয়ন করে। ইহার ৩৬ বৎসর পরেও তিনি এই ঘটনাকে তাঁহার

১০