দেখিতেন, তাহার প্রতি তিনি অতিশয় বিরাগ প্রকাশ করিতেন। কবিদিগের মধ্যে একমাত্র ওয়ার্ডসওয়ার্থকেই তিনি আদর্শ কবি জ্ঞান করিতেন। ওয়ার্ডসওয়ার্থের প্রশংসাকারীও তাঁহার বন্ধু বলিয়া পরিগণিত হইতেন। তিনি দুই বার দুইটী বৃহৎ বিষয় লইয়া কাব্য রচনা করিতে মনন করেন। বাল্যকাল হইতেই জ্ঞানার্জ্জন করিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করা, তাঁহার জীবনের একটি উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিনি এ বিষয়ে এই সময়ে তাঁহার দৈনন্দিন লিপিতে লিখিয়াছিলেন, “যে সকল বিষয়ে আমার আত্মা পরিতৃপ্ত হয়, আমি সেই সকল বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া স্থায়ী ভাবে এ পৃথিবীতে রাখিয়া যাইতে চাই। কখন কখন আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি যেন এমন কিছু রাখিয়া যাইতে পারি, যাহা আমার মৃত্যুর পর চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে। এবং ভবিষ্যদ্বংশীয়গণ তাহা স্মরণ করিবে। কিন্তু, আমার এই শেষ ইচ্ছা, আমার শক্তির অতীত বলিয়া মনে হয়।” মেরী কার্পেণ্টারের এই মহতী ইচ্ছা সম্পূর্ণরূপে সফল হইয়াছিল। তিনি এমন কিছু রাখিয়া গিয়াছেন, যাহা মানবহৃদয়ে চিরদিন মুদ্রিত হইয়া থাকিবে। কাব্য ব্যতীত তিনি চিত্র-বিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন। চিত্রের মধ্যে তাঁহার প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেমের নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি
পাতা:মেরী কার্পেন্টার - কুমুদিনী মিত্র.pdf/২৫
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেরী কার্পেণ্টার্।
১৩