তাহাদের মনে পৃথিবীর আশ্চর্য নির্মাণকৌশলের ভাব জাগাইয়া দিতেন। তিনি কিরূপ ভাবে বালকবালিকাদিগকে শিক্ষা দিতেন, তাহা তাঁহার দৈনন্দিনলিপি হইতে উদ্ধৃত নিম্নলিখিত অংশ পাঠ করিলেই বুঝা যায়।
“পৃথিবীর মেরুদণ্ড কিঞ্চিৎ হেলিয়া আছে বলিয়াই যে, ঋতুর পরিবর্তন হয়, তাহা তাহাদিগকে দেখাইলাম এবং বুঝাইয়া দিলাম। তাহারা ইহাতে অতিশয় আহ্লাদিত হইল।”
“এই ক্লাসের ছেলেরা কখনও মানচিত্র দেখে নাই। মানচিত্র বুঝিতে তাহাদের অনেকক্ষণ লাগিয়াছিল। একটি ছাত্র মানচিত্রে ব্রিষ্টল্ এবং বাথ নগর দেখিয়া অত্যন্ত আনন্দিত হইল। আমি সর্ব্বদা অগ্রে জ্ঞাত স্থানগুলি দেখা ইয়া পরে অজ্ঞাত স্থান দেখাই।”
“পূর্ব্ব সপ্তাহে আমি ছাত্রদিগকে কয়েকটি ফার্ণ দেখাইয়াছিলাম। তাহারা ইহার সৌন্দর্য্য বুঝিতে পারিয়াছিল; কিন্তু ইহা যে, কি জিনিষ তাহা কেহই বলিতে পারিল না। কেহ বলিল, ইহা তাল গাছ। আমি ফার্ণ সম্বন্ধে তাহাদিগকে যাহা বলিলাম, তাহা তাহারা অতি আগ্রহের সহিত শ্রবণ করিল।”
“ম্যাকবেথের গল্প তাহাদিগকে বলিলাম; বেশ বুঝিলাম