পাতা:মেরী কার্পেন্টার - কুমুদিনী মিত্র.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেরী কার্পেণ্টার্।

প্রভৃতি অপরাধে অপরাধী হইলে, তাহাদিগকে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদিগের সহিত একই কারাগারে বাস করিতে হইত। শাস্তি দেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য—চরিত্র সংশােধন। কিন্তু ক্রমাগত দণ্ডিত হইয়া, বার বার জেলখানায় বাস করিয়া ইহাদের চরিত্র আরও কঠিন এবং দূষিত হইত। অধিকন্তু যেরূপ ভাবে পূর্ণবয়স্ক ও অল্পবয়স্ক বালকবালিকাদিগকে শাস্তি পাইয়া একই কারাগৃহে বাস করিতে হইত, তাহাতে বালকবালিকাদিগের চরিত্র সংশােধিত না হইয়া বরং উত্তরােত্তর অধধাগতি প্রাপ্ত হইত। তিনি ইহার বিষময় ফল, সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করিতে পারিয়াছিলেন। মেরী কার্পেণ্টার্ যদিও কাহাকেও কাহাকেও সৎপথে আনিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, দরিদ্রবিদ্যালয় দ্বারা এই প্রকার বালকবালিকাদিগের চরিত্র সংশােধন করা যাইবে না। ইহাদিগকে মানুষ করিতে হইলে, সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রকার বিদ্যা-লয়ের প্রয়ােজন। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা দ্বারা তাঁহার এই সঙ্কল্প দৃঢ়তর হইতে লাগিল। তিনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ কয়েকটি প্রধান ব্যক্তির সহিত ইহার প্রয়ােজনীয়তা-সম্বন্ধে পত্রালাপ করেন এবং অল্পবয়স্ক অপরাধীদিগের বিবরণ সংগ্রহ করিয়া তাহা আলােচনা করিতে আরম্ভ করেন।

২৪