না। মেরী কার্পেণ্টার্ লায়ড গ্যারিসন, থিয়ােডাের পার্কার প্রভৃতি মনীষিগণের সহিত মিলিত হইয়া এই সংগ্রামে প্রাণমনঃ ঢালিয়া যােগ দেন এবং দাসত্বপ্রথার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করিয়া দাসত্বপ্রথার বিরােধীদিগকে উৎসাহিত করেন। দাসত্ব প্রথার বিরুদ্ধ মতাবলম্বীরা ইহাঁদের সহানুভূতি ও উৎসাহ বাক্যে আরাে প্রােৎসাহিত হইয়া সঙ্কল্প দৃঢ়তর করিতে এবং এই ঘৃণিত ব্যবসায় উচ্ছেদ করিতে সমর্থ হইয়াছিল। যে দেশে হউক না কেন, জনসাধারণের দুরবস্থার কথা শুনিলেই মেরী কার্পেণ্টারের প্রাণ আকুল হইয়া উঠিত; এবং তিনি তন্নিবারণে সর্ব্বান্তঃকরণে যত্নবতী থাকিতেন; যত দিন না কার্য্য সংসাধন হইত, ততদিন তাহা হইতে বিরত হইতেন না।
ভারতের কার্য্য।
১৮৬০ খৃষ্টাব্দের শরৎকালে একজন ভারতবর্ষীয় খ্রীষ্টান ইংলণ্ডে গমন করেন। ত্রিশ বৎসর পূর্ব্বে রাজা রামমােহন রায় ইংলণ্ডে গমন করিয়া মেরী কার্পেণ্টারের হৃদয়ে ভারতের প্রতি যে স্নেহ, যে উৎসাহ অঙ্কুরিত করিয়া দিয়াছিলেন, এই নবাগত ভারতবাসীকে দেখিয়া তাহা ভারতে আগমনের উদ্যোগ। প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিল। তিনি