পাতা:মেরী কার্পেন্টার - কুমুদিনী মিত্র.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেরী কার্পেণ্টার্।

প্রভৃতি জনহিতকর কার্য্যসম্বন্ধে তাঁহার মতামত জানিতে চাহিলেন। এইরূপে এখানে আসিয়াই তাঁহার সম্মুখে কার্য্য করিবার নূতন পথ দেখিতে পাইলেন। নারীদিগের শিক্ষা, নারীদিগের অধঃপতিত, পদদলিত অবস্থার পরিবর্তন করিতে দৃঢ়সংকল্প হইলেন। যদিও তখন কলিকাতা, বােম্বাই, পুনা প্রভৃতি কয়েকটি নগরে বালিকাবিদ্যালয় ছিল,কিন্তু তাহাদের অবস্থা শোচনীয় ছিল। অতি অল্পসংখ্যক বালিকাই স্কুলে অধ্যয়ন করিত এবং প্রায় সকলেরই ১১।১২ বৎসর বয়সে জ্ঞানার্জ্জন শেষ হইত। যে জ্ঞানার্জ্জনের অন্ত নাই, যে জ্ঞানলাভসম্বন্ধে মহাজ্ঞানী নিউটন্ বলিয়াছিলেন, “আমি এখনও জ্ঞান-সমুদ্রতীরে উপলখণ্ড আহরণ করিতেছি,” সেই জ্ঞানলাভ ভারতবর্ষীয়া বালিকাদিগের দশ, এগার বৎসরেই শেষ হইয়া যাইত! তিনি এই অবস্থা দেখিয়া অবাক্ হইলেন। তিনি আরও আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন যে, স্ত্রীলােকদিগের শিক্ষা দিবার জন্য প্রায় প্রত্যেক স্কুলে পুরুষ শিক্ষক নিযুক্ত। শিক্ষয়িত্রী পাওয়া অতি দুর্লভ ছিল।

 বােম্বাই নগরে আসিবার কয়েক দিন পরে তিনি আহ্-মেদাবাদ নগরে গমন করেন। এই স্থানের কারাগৃহ, হাঁস-পাতাল, উন্মাদালয়, বিদ্যালয় প্রভৃতি পরিদর্শন করেন এবং তৎসঙ্গে ভারতবর্ষীয়দিগের চরিত্র এবং অভাবও পর্য্যবেক্ষণ

৩৬