করিয়া ভারতের অবস্থা সম্বন্ধে প্রভূত জ্ঞানলাভ করেন। তাঁহার প্রখর পর্য্যবেক্ষণক্ষমতা এবং তীক্ষ অনুভব শক্তির দ্বারা তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রকার অধিবাসীদিগের জীবনালােচনা করিয়া অপার আনন্দ সম্ভোগ করিতেন। তিনি অবসর সময়ে ভারতের অসীম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য চিত্রিত করিয়া ভারতের প্রতি তাঁহার অনুরাগ প্রকাশ করিতেন। তিনি তাঁহার অমূল্য কার্য্য দ্বারা ভারতানুরাগের পরিচয় দিয়াছিলেন; অধিকন্তু চিত্রকলা দ্বারাও তাঁহার হৃদয়ের এই গভীর ভাব প্রকাশ করিয়া আনন্দ পাইতেন। আহ্মেদাবাদ নগরেই তাঁহার ভারতীয় কার্যপ্রণালী স্থির হয়। ভারতে স্ত্রীশিক্ষার যে সকল অন্তরায় বর্ত্তমান, তাহা তিনি সাধারণ ভাবে জ্ঞাত ছিলেন। প্রাচীন কালে ভারতের নারীদিগের শিক্ষার অতি উচ্চ আদর্শ ছিল সত্য; কিন্তু এই সময়ে দেশের লােকে এই সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন এবং অমনােযােগী হইয়া পড়িয়াছিল। মেরী কার্পেণ্টার্ কলিকাতা, পুনা, আহ্মেদাবাদ, মান্দ্রাজ, বােম্বাই প্রভৃতি স্থানের বালিকাবিদ্যালয়গুলি পরিদর্শন করেন। তিনি কলিকাতা আগমন করিয়া বেথুন স্কুল পরিদর্শন করেন; এবং ব্রাহ্মসমাজের উপাসনায় যােগদান করেন।
তিনি ভারতের রাজপুরুষদিগের তিনটি বিষয়ের প্রতি