উপসংহার।
কুমারী মেরী কার্পেণ্টার্ মৃত্যুদিবস পর্যন্ত কার্য্য করিতে বিরত হন নাই। কি অত্যাশ্চর্য্য, অবর্ণনীয় কর্ম্মময় জীবন! শেষ দিন পর্যন্ত কেবল কাজ, কাজ, কাজ! পরার্থে আত্মােৎসর্গের কি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত! মানবের দুঃখ দূর করিবার কি আকুল পিপাসা! ইচ্ছা করিলে সুখসৌভাগ্যে পরিবেষ্টিত হইয়া আরামে জীবন কাটাইতে পারিতেন; কিন্তু তাহা অপেক্ষা চির-কৌমার্যব্রত অবলম্বন পূর্ব্বক শত অত্যাচার, বাধা, বিঘ্ন ও দুঃখকে তুচ্ছ করিয়া পরের জন্য আত্মবিসর্জ্জনকেই বরণ করিয়াছিলেন। ঈশ্বরের প্রতি এবং তাঁহার সন্তান মানবের প্রতি এ কি গভীরপ্রেম! এই প্রগাঢ় প্রেমে অনুপ্রাণিত হইয়া তিনি নিজের সুখ তুচ্ছ করিয়া তাহাদের জন্য প্রাণ সমর্পণ করিলেন। তাঁহার স্নেহপ্রবণ হৃদয়, জগতের মানব জাতির উপর বিক্ষিপ্ত হইয়াছিল। যখন যে দেশে জনসাধারণের দুরবস্থার কথা শুনিতেন, তখনই তাহাদের দুঃখবিমােচনে প্রাণ মন সমর্পণ করিতেন। ইংলণ্ডের অনাথ দরিদ্রদিগের উন্নতিবিধান, দরিদ্র কৃষিজীবী ও শ্রমজীবীদিগের জন্য নৈশবিদ্যালয় স্থাপন, হীনচরিত্র লােকদিগের মানসিক উন্নতিকল্পে সংশােধন শিক্ষাগারপ্রতিষ্ঠা,