পাতা:মোগল যুগে স্ত্রীশিক্ষা.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মোগল যুগে স্ত্রীশিক্ষা

ভূম্যধিকারীর পুত্র সম্রাট্-বংশধরকে রাজ্যচ্যুত করিয়াছে শুনিয়া, পারস্য-সম্রাট্ রাজ-অতিথিকে সাহায্যদানে সম্মানিত করিলেন। পারস্য-বাহিনী-সহায়ে এবং বয়রামের অলৌকিক বীর্য্যবলে হুমায়ুনের হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধৃত হয়। চিরহতভাগ্য সম্রাট্ দুর্দ্দিনের বন্ধুকে বিস্মৃত হন নাই, তিনি প্রতিশ্রুত ছিলেন, ভারত-বিজয় হইলেই ভাগিনেয়ী সলীমার সহিত বিবাহ দিয়া বয়রামকে রাজ-আত্মীয়রূপে গৌরবান্বিত করিবেন। সম্রাট্ আকবর পিতৃপ্রতিশ্রুতি পালন করিলেন। কিন্তু বয়রামের ভাগ্যে এই দুর্ল্লভ নারীরত্ন দীর্ঘকাল ভোগ হইল না,—বিবাহের তিন বৎসর পরে জনৈক গুপ্তঘাতক তাঁহাকে নিহত করে। বয়রামের কণ্ঠচ্যুত রত্নহার সম্রাট্ আকবর স্বয়ং সাদরে হৃদয়ে তুলিয়া লইলেন।

 অনপত্যা সলীমা তাঁহার হৃদয়ের চিরসঞ্চিত স্নেহরাশি কুমার সলীমের (জহাঙ্গীরের) উপরেই বর্ষণ করিয়াছিলেন। সপত্নী-সন্তান হইলেও তিনি সলীম্‌কে গর্ভজ-পুত্রের ন্যায় লালনপালন করিতেন। দুর্ব্বুদ্ধিবশতঃ সলীম্ যখন পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, সেই সময় পুত্রের দুর্ম্মতি অপনোদনের জন্য সলীমা স্বয়ং এলাহাবাদে তাঁহার নিকট উপস্থিত হন এবং নানারূপে বুঝাইয়া কুমারকে পিতৃসন্নিধানে লইয়া আসেন। তীক্ষ্নবুদ্ধিশালিনী এই বিদুষী