আধারে প্রবাহিত হইয়াছিল, তাহা আজ কে নির্ণয় করিবে?[১]
প্রকৃতি জেব-উন্নিসাকে সৌন্দর্য্যের ললামভূতা করিয়া সৃষ্টি করিয়াছিলেন। বাহিরের রূপ ও অন্তরের পাণ্ডিত্য তাঁহার কবিপ্রতিভাদীপ্ত শুভ্র ললাটে যে গৌরবের মুকুট পরাইয়া দিয়াছিল, তাহা রাজকিরীট অপেক্ষাও সমুজ্জ্বল। মোগলের নিভৃত অন্তঃপুরে দুর্ভেদ্য যবনিকার অন্তরালে থাকিয়াও জেব্ ঘন পত্রান্তরালে বিকশিত, সুরভি-সৌন্দর্য্য-মণ্ডিত গোলাপ পুষ্পের ন্যায় আপনাকে ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে লুক্কায়িত রাখিতে পারেন নাই— দেশ-দেশান্তরে তাঁহার যশ-সৌরভ পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল।
জেব্-উন্নিসা ভ্রাতা মুহম্মদ্ আক্বরকে নিরতিশয় স্নেহচক্ষে দেখিতেন। এই জ্যেষ্ঠা ভগিনীর প্রতি আক্বরেরও অগাধ বিশ্বাস, অপরিসীম শ্রদ্ধা-ভক্তি ছিল। আক্বর একখানি পত্রে জেব্-উন্নিসাকে লিখিয়াছিলেন, “যাহা তোমার, তাহাই আমার, এবং যাহা আমার, তাহাতে সর্ব্বময়ে তোমার অধিকার রহিয়াছে।’ পত্রের অন্যত্র আছে, ‘দৌলৎ ও সাগরমলের জামাতৃগণকে কার্য্যে
- ↑ খান সাহিব্ আবদুল্ মুক্তাদীর ‘দিউয়ান্-ই-মখ্ফী’র বিস্তৃত সমালোচনা ও পরীক্ষা করিয়াছেন। See Bankipur Oriental Public Library Catalogue, Persian Poetry, iii. pp. 25o-51.