পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । b" ‘আসিবল খৃষ্টধৰ্ম্মে (ইছলামে নহে) যুরোপীয় লেখকগণ ইছলাম ধৰ্ম্মের উপর নানা প্রকার কুৎসা আরোপ করেন ; তন্মধ্যে অসিবলে ধৰ্ম্মপ্রচার সর্বাপেক্ষা প্রধান অভিযোগ। যাহারা ক্রছেড বা খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম যুদ্ধের ইতিহাস জ্ঞাত নহেন, তাহারা এই অযথাউক্তি সহজে বিশ্বাস করেন। পৃথিবীর ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, কোন ধৰ্ম্মই অসিবলে স্বীয় প্রভুত্ব স্থায়ী ও অক্ষুণ্ণ রাখিতে সমর্থ হয় নাই। পূৰ্ব্বকালে অনেক সম্প্রদায় অসি: সাহায্যে ক্ষণকালের জন্ত কর্তৃত্বস্থাপন করিতে সক্ষম হইয়াছিল বটে, কিন্তু তাহাদের প্রভাব কয়েক পুরুষ মধ্যেই তিরোহিত হইয়াছিল। ইহারা সম্ভবতঃ এরটুগ্রেলের কাহিনী, চেঙ্গিসর্থর নৃশংসতা ও হালাকুর ধ্বংস ক্রিয়ার ইতিহাস পাঠ করিয়াই মোছলেম জাতির উপর এইরূপ কঠোর অভিযোগ করিয়া থাকেন। তাহারা বোধ হয়, জানেন না যে, ইহার কেহই মুসলমান ছিল না, সকলেই বৰ্ব্বর দস্তু্যদলের নেতা ছিল এবং ইছলামের জয়-পতকা চিরতরে ধবংস করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর ছিল । ইহার সকলেই ইছলামের শক্র, কেহই উহার মিত্র ছিল না। ইহাদের বংশধরগণ ইছলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিল বটে, কিন্তু ইহাদিগকে মোছলেম রাজত্বের আদর্শ মনে করা বাতুলতা মাত্র ইহাদের ইতিবৃত্তি পাঠ করিলে সহজেই প্রতীতি হইবে যে, ইহারা দস্থ্যতা ও লুণ্ঠন কাৰ্য্যেই সৰ্ব্বদা ব্যাপৃত ছিল, রাজ্য সংস্কার ইহাদের উদ্দেশ্য ছিল না। এই কারণে অত্যন্স কাল মধ্যেই ইহাদের শক্তি লোপ প্রাপ্ত হইয়াছিল। মুকুতি ও স্বশাসন ঐতিহা গঠন সক্ষম। যে জাতি খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী হইতে আরম্ভ করিয়া বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত একাদিক্ৰমে পৃথিবীর নানা অংশে প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছিল ; তাহাদিগের উপর এই প্রকার অপবাদ ও কুৎসার আরোপ কোন রূপেই সমীচীন নহে। পাঠকবর্গ একবার দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতাব্দীর ক্রছেডের ইতিহাস পাঠ করিয়া দেখুন। তাহ হইলে দেখিতে