পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

がゲ মোছলেম জগতের ইতিহাস । হয়। তৎপরে আরও কয়েকবার ক্রুছেড যুদ্ধের সংকল্প হইয়াছিল, কিন্তু কখনও উচ্চা কার্য্যে পরিণত হয় নাই । ক্রুছেড়েৱ স্বরূপ-এই সকল যুদ্ধে মোছলেমগণ শৌয্য, বীৰ্য্য, দয়ালুতা, ক্ষমাশীলতা ও শিষ্টাচারের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। তাহাদেরই গুণাবলীর আদশে মধ্যযুগের খৃষ্টীয় “নাট” সম্প্রদায় গঠিত झु । {} খলিফাদিগের শাসনাধীন হইবার পূৰ্ব্বে, জেরুশালেম বিশ্বাস-ঘাতকতা, ত্যাচার, অবিচার ও দমাবৃত্তি প্রভৃতির লীলাভূমি ছিল । মোছলেম শাসনে আসিয়া ইহার নবজীবন লাভ হয় এবং সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক বিসম্বাদ লোপ প্রাপ্ত হয় । খৃষ্টানগণ অবাধে স্বীয় ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম সম্পাদন করিতে পারিত। কুছেড যুদ্ধকালে জেরুণালেমে পুনরায় অশান্তি ও অত্যাচারের অগ্নি জলিয় উঠে । ক্রুশধারিগণ স্ত্রীপুরুষ বালক বালিক। নিৰ্ব্বিশেষে অগণিত মোছলেমকে হত্য করিয়া নরশোণিতে ধরণী প্লাবিত করে । কিন্তু ইছলামের এমনই অপূর্ব শিক্ষা নে, ছোলতান ছালাহউদ্দিন যখন জেরুণালেম পুনরধিকার করেন, তখন অ-মোছলেমদিগের উপর কোন হত্যাকাণ্ডের আদেশ হয় নাই । * # প্যালেষ্টাইন অধিকার করিবার জন্যই ক্রুছেডের স্বষ্টি। য়ুরোপের সাধারণ অশিক্ষিত লোক এই যুদ্ধে যোগদান করিয়াছিল। কিন্তু ইহার গৃঢ় উদেশ্য আদেী ধৰ্ম্ম-নৈতিক নহে। মধ্যযুগে যাজকশ্রেণীর অবস্থা অতি কদৰ্য্য হুইয়া উঠিয়ছিল। যাজকশ্রেণীর ইঙ্গিতে ক্রুশধারিগণ ইউবোপ অতিক্রম করিয়া হত্য, লুণ্ঠন ও দস্থাবৃত্তির জন্য প্রাচ্যাভিমুখে অগ্রসর হইয়াছিল। তাহারা হাঙ্গরী, বুলগেরিয়া ও অন্যান্ত দেশের অধিবাসিদিগের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিল। তাহারা পথিমধ্যে বাইজেনটিয়াম পৌঁছিয়া যেরূপ কাঁচার করিয়াছিল, তাহার কতক আভাষ ডিন