পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । సెసి মিল-ম্যান হইতে পাওয়া যায়। তিনি লাটিন খৃষ্টধৰ্ম্ম সম্বন্ধে এইরূপ লিখিছেন—“খৃষ্টান যুবতীগণ ও গ্রীকগৃহিনীগণের উপর সদর রাস্তায় বীভৎস অত্যাচার করা হইয়াছিল এবং সৈনিকগণ লুষ্ঠিত দ্রব্য লইয়া গাড়ীপূর্ণ করিয়াছিল। গণিকাগণ কুৎসিৎ গানে পবিত্র ধৰ্ম্ম গৃহ অপবিত্র করিয়াছিল। খৃষ্টান যাজক ও তাপসগণ বিপুল লুষ্ঠিত দ্রব্যের অংশ গ্রহণ করিবার জন্য আগ্রহ সহকারে উপস্থিত হইয়াছিল। সহস্ৰ সহস্র ক্রুশধারী রোগে ও দুর্ভিক্ষে পথিমধ্যে প্রাণত্যাগ করে এবং অবশিষ্ট প্যালেষ্টাইনে পৌছে। ক্রছেড স্মি-যুদ্ধ বলিয়া অভিহিত, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ইঙ্গ যাজক শ্রেণীর কলঙ্ক-ইতিহাস। কথিত আছে, ১ম ক্র ছেডের সময় ফরাসী সৈন্যদিগের জন্য তিন শত বারাঙ্গণা প্রেরিত হইয়াছিল । যে সকল অনা ধৰ্ম্মাবলম্বী ছারাছেনদিগের হস্ত হইতে পবিত্র ভূমিকে রক্ষা করিতে আসিয়াছিল, তাহারা পবিত্র সমাধিক্ষেত্রের কলঙ্ক সাধন করিয়াছিল। ক্রুশধারিগণ, যে সকল দেশ অতিক্রম করিয়াছিল, সেই সকল দেশ লুষ্ঠিত ও ধ্বংস প্রাপ্ত হইয়াছিল। অগণিত ইহুদীও নিহত হইয়াছিল।” মিলম্যান বলিতেছেন, “প্যালেষ্টাইনের খৃষ্টানগণ ব্যবহারে ও চরিত্রে অতি ব্যভিচারী, অত্যন্ত বিশ্বাসঘাতক এবং উৎপীড়ক ছিল। তাহারাই পবিত্র ভূমির ও পবিত্র সমাধির রক্ষক বলিয়া পরিগণিত হইত।” ২য় ক্রছেড়ে বহুসংখ্যক ইহুদী নিহত হইয়াছিল। কথিত আছে, ১ম যুদ্ধে তিন লক্ষ এবং ২য় যুদ্ধে ত্রিশ হাজার লোক নিধন প্রাপ্ত হয়। অগণিত খৃষ্টান বালক পবিত্র ভূমির অভিমুখে যাত্রা করিয়া আফিকার উপকূলে দাসত্বের জন্য বিক্রীত হয়। যুদ্ধ করা দূরে থাকুক, বহু ক্রুশধারী পবিত্র ভূমি দর্শনও করে নাই। ইছলাম অর্থ “শান্তির ধৰ্ম্ম।” যখন জেরুশালেম মোছলেম অধিকারে ছিল, তখন আরবে ইহুদী ও খৃষ্টানগণ স্বস্ব ধৰ্ম্মকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে পারিত, কিন্তু খৃষ্টান অধিকারে,ইহা অশান্তির