পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y o 8 মোছলেম জগতের ইতিহাস । খৃঃ পূঃ ৫৪ অব্দে রোমে গৃহবিবাদ উপস্থিত হয়। ইউফ্রেতিছ নদীর উৎপত্তির স্থানে রোমক ও পার্থিয়ানদিগের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। তাহাতে

ബബ് ബയ ... ... assast...im... n

পহেলবী ভাষা বলা যাইতে পারে। ইহার অংশ বিশেষের অনুবাদকে জেন্দ বলা হইত ; তাহা হইতে অনেকে ভ্রমবশতঃ মূল গ্রন্থকেই ‘জেন্দ-অভেস্তা’ নামে অভিহিত করেন। মৌলিক আভেস্তা ২১ খণ্ডে বিভক্ত ছিল বলিয়া ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে বর্তমান আভেস্ত মাত্র পাঁচ খণ্ডে সমাপ্ত। কি প্রকারে এই পরিবর্তন সংঘটিত হইয়াছে, তাহার প্রামাণিক ইতিহাস পাওয়া যায় না। তলে কথিত আছে, “আলেকজাণ্ডার কর্তৃক পার্সিপলিস ভন্মের সময় অাভেস্তার কিয়দংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পরে ভলোজিসিস্ নামক জনৈক আরসাশিদ বংশীয় নৃপতি বহু আয়াস স্বীকার করিয়া আভেস্তার উদ্ধার সাধন করেন। আরদাছের এবং ১ম ও ২য় শাপুর নামক ছাছান নৃপতিত্রয়ের সময়েও , আভেস্তার পরিবর্দ্ধন ও সংস্কার সাধিত হয় । আভেস্তা অতি প্রাচীন গ্রন্থ হষ্টলেও তাহীতে একত্ববাদের স্পষ্ট সূচনা দেখিতে পাওয়া যায়। জোরষ্টার নিজের প্রেরিতত্ব সম্বন্ধে বলিয়াছেন যে, প্রচলিত ধৰ্ম্মকে বহু ঈশ্বর পুজার আবিলত হইতে মুক্ত করিবার জন্তই তিনি প্রেরিত হইয়াছেন। যদিও তিনি পৃথিবীতে সৎ ও অসৎ দুই শক্তির প্রভাব ও প্রাধান্তের উল্লেখ করিয়াছেন, ,তথাপিও তাহার ধৰ্ম্মকে একত্ববাদ ব্যতীত অস্ত কিছু বলা স্তুসঙ্গত। জোরষ্টার সৎ ও অসতের চিরন্তন দ্বন্দ্বের উল্লেখ করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, পৃথিবী এই দুই শক্তির যুদ্ধক্ষেত্র এবং মানবের আত্মা তাহদের কলহের বস্তু। জগৎস্রষ্টা মানবের ইচ্ছাশক্তিকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রতা দিয়াছেন বলিয়া মানব সৎ ও অসৎ যে কোন শক্তিদ্বারা প্রভাবান্বত হইতে পারে। আভেস্ত গ্রন্থে মৃত্যুর পর পাপ-পুণ্যের বিচার এবং তদন্ত্রসারে নরক বা স্বৰ্গভোগের অবস্থার উল্লেখ আছে। যে ব্যক্তির পুণ্যের পরিমাণ পাপ অপেক্ষা বেশী হইবে, সেই স্বর্গের অধিকারী, নচেৎ নহে। তাহার মতে যাগযজ্ঞ বা বলিদান দ্বারা পাপক্ষয় হয় না। কালক্রমে জোরষ্টার প্রচারিত ধৰ্ম্মে পুরোহিতগণ অত্যস্ত ক্ষমতাশালী হইয় উঠে এবং পৌরহিত্যের চাপে পিষ্ট হয়ে মূল ধৰ্ম্ম নানা প্রকার কলুষতা প্রাপ্ত হয়। সপ্তম শতরীতে পারষ্ঠে ইছলাম প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন ধৰ্ম্ম লোপ পাইতে থাকে।