পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । I ১১৩ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যুদ্ধে বারংবার পরাস্ত হইল এবং অনেকগুলি সীমান্ত স্থান মোছলেমদিগের করতলগত হইল। খৃষ্টানগণ বিজয়ী মোছলেমদিগকে সাহায্য করিতে অঙ্গীকার করে। আরবগণ তাইগ্ৰীস নদীর পশ্চিম পারস্থ গ্রামগুলি লুণ্ঠন করিয়া লন। ৬৩৪ খৃষ্টাব্দে খালেদকে ছিরিয়া দেশে ডাকিয়া পাঠান হয়। র্তাহার স্থলাভিষিক্ত আৰু ওবায়দা পারশিকদিগের দ্বারা পরাস্ত হন, খলিফা ওমর ইরাকে অধিক সংখ্যক সৈন্ত প্রেরণে মনস্থ করিলেন। ৬৩৬ খৃষ্টাবো বোয়ের নামক স্থানে পারগু সৈন্ত আরবদিগের হস্তে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হইল। ইতিমধ্যে ইয়ার-মুক যুদ্ধে হেরাক্লিয়াস কর্তৃক ছিরিয়া জয়ের সংবাদ আসিল । পারগুরাজ আসন্ন বিপদ উপস্থিত দেখিয়া রোস্তমের নেতৃত্বে লক্ষাধিক সৈন্ত প্রেরণ করিলেন। আরব সেনাপতি ছায়াদ-এর নে-আবি-অক্কাছ হটিয়া গিয়া হিরার দক্ষিণ পশ্চিমে কদাছিয়া নামক স্থানে উপনীত হইলেন। অবশেষে ৬৩৭ খৃষ্টাব্দে পুনরায় যুদ্ধের আয়োজন হইল। আরবগণ অতি সাহসিকতার সহিত যুদ্ধ করিলেন। গজারূঢ় পারশিক সৈন্য ছিন্ন ভিন্ন হইয়া পড়িল এবং রোস্তম নিহত হইলেন। মোছলেমগণ জয়লাভ করিলেন। তৎপরে আরবগণ তাইগ্রীস অতিক্রম করিয়া টিসিফন আক্রমণ করেন। ভয়ে এজদেগার্দ পলায়ন করিলেন। ছাছান্নবংশের অবসাল—নিম্ন ইরাক ও ছছিয়ানা আরবদিগের হস্তগত হইল। অতঃপর ৬৪১ খৃষ্টাব্দে আরবগণ প্রসিদ্ধ নেহাবলের যুদ্ধে জয়লাভ করিয়া বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। অবশেষে বিশাল পারশিক বাহিনী নোমান কর্তৃক সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইল। এস্তাখের ও উহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানসমূহের মোছলেমগণ নানা প্রকার বাধা প্রাপ্ত হইয়াছিল, কিন্তু অবশেষে বিদ্রোহের মূল উৎপাটিত হইল। ৬৫১ খৃষ্টাব্দে এজদেগার্দ অতি নিষ্ঠুরভাবে আততায়ীর হস্তে নিহত হন। 1.