পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । } } (t

  • পাৱশেষ্ঠ ছামাল বংশ-৮৭৪–৯৯৯ খ্রঃ অঃ– ছামান বংশ মাওয়ারুন্নাহার, খোরাছান, বল্‌খ ও ছিস্তানের উপর এবং অপব অংশ এরাক, ফারেছ, কেরমান, কুর্দিস্থান ও লারিস্তানের উপর প্রভূত্ব স্থাপন করিয়াছিল। প্রথমোক্ত বংশের নেতা ছামান জনৈক তাতার দলপতি ছিলেন। তিনি ছাছান বংশীয় বাহ রাম চৌবি হইতে বংশক্রম দাবী করিতেন। খলিফা মামুনের অনুগ্রহে তাছার পৌত্র ছামান খোরাছান ও মাওয়ারুন্নাহার প্রদেশে পরাক্রমশালা হইয়া উঠিয়াছিলেন। ইছমাইল আমরের বিরুদ্ধে সাহায্য করিয়া খলিফার বিশেষ অনুগ্রহভাজন হন। এজন্য খলিফা তাহার প্রভুত্ব স্বীকার করেন। ৯০৭ খৃঃ অব্দে তিনি পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত রাজ্য রাখিয়া পরলোক গমন করেন। বিশ্বস্ততা সাহসিকতা, ন্তায়পরতা, ধৰ্ম্মপরায়ণতা এবং বিদ্যোৎসাহিতার জন্য তিনি প্রাচ্য সম্রাট্রদিগের মধ্যে বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিলেন। ইছমাইলের পঞ্চম বংশধর আমীর মুহ, ওমরাহগণ কর্তৃক উৎপীড়িত হইয়া ছবক্তাগীন নামক জনৈক পরাক্রমশালী শরীর রক্ষক ক্রীতদাসের নিকট সাহায্যপ্রার্থ হন।

দেয়ালম লং শ–৯৩২-১৭৫৫ খ্রঃ অঃ–মাজেন্দরাণ প্রদেশস্থ দেয়ালম’ নামক স্থানের জনৈক মৎস্তজীবী আবু সোজা-বাওয়া জ্যোতিৰ্ব্বিদ্যাবলে তদীয় পুত্রত্ৰয়কে রাজকীয় ক্ষমতার প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন। সাময়িক বিদ্রোহ ও পরস্পরের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফলে পুত্ৰগণ তাবারিস্থানের দলপতির নেতৃত্বে ক্রমশঃ শক্তিশালী হইয় উঠেন। ক্রমে তাহার কারমান ও কুর্দিস্তান অধিকার করিয়া বাগাদ অধিকারের সঙ্কল্প করেন। কিন্তু খলিফা উক্ত প্রদেশে তাহাদের প্রভুত্ব স্বীকার করায় তাহারা বাগাদ আক্রমণের ইচ্ছা পরিত্যাগ করেন। আৰু সোজার মৃত্যুর পর তদীয় পুত্র রোকনউদ্দৌলা হাছান সিংহাসনে অন্ত্রিরূঢ় হন এবং তীয় ভ্রাত ইমাদ্রদৌলা ফারেছ রাজ্য অধিকার করিয়া' ৩০ বৎসর যাবৎ অতি