পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ১২৩ ৫২ বৎসর রাজত্বের পর ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন। র্তাহার রাজত্বকালে পারশোর বিশেষ ক্ষতি ও তুরষ্কের প্রভূত লাভ সংঘটিত হয়। . তৎপরে ক্রমান্বয়ে ২য় ইছমাইল এবং মোহাম্মদ মির্জা কিয়ৎকাল রাজত্ব করেন। তাঁহাদের সময়ে তুর্কীগণ সন্ধি করিতে বাধ্য হয়। অবশেষে ১৫৮৬ খৃষ্টাব্দে আকবাছ রাজ্যভার গ্রহণ করেন। ১৫৮৯ খৃষ্টাব্দে তুর্কীগণ পুনরায়, পারশ্য আক্রমণ করিলে আব্বাছ তাহাদিগকে যথেষ্ট উপঢৌকন দিয়া বিদায়ু করেন। তৎপরে তিনি সৈন্তবিভাগের সংস্কার সাধন করিয়া অটোমান ক্ষমতা বিনাশ করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হই, লেন এবং এক লক্ষ তুর্কী সৈন্ত পারশ্য হইতে বিতাড়িত হইল। তাহাদের অধিকৃত আজারবাইজান, জর্জিয়া, কুদ্দিন্থান, বাগদাদ ও মেছিল পারশ্য সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত এবং উজবেগদিগের হস্ত হইতে খোরাছান বিমুক্ত করা হয়। আকবাছের রাজত্বকালে পারশ্য সাম্রাজ্য বিশেষ সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিয়াছিল। র্তাহার রাজত্ব পূৰ্ব্বে বল্‌খ ও বাহরায়েন (পারশোপসাগরের আরব সংলগ্ন অংশ) পৰ্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ইস্পাহানে তাহার রাজধানী প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাহার দরবারে ইংলণ্ড, রুশিয়া, স্পেন, হলগু, 'পটুগাল ও ভারতবর্ষ হইতে রাজদূত উপস্থিত থাকিতেন। তিনি অতিশয় বিচারক্ষম ও দ্যায়পরায়ণ নৃপতি ছিলেন এবং বহুসংখ্যক মসজিদ, কলেজ, বাজার,সেতু ও পান্থশালা নিৰ্ম্মাণ এবং রাজধানী ইস্পাহানকে বিশেষরূপে মুসজ্জিত করিয়াছিলেন। ৪২ বৎসর রাজত্বের পর ১৬২৮ খৃষ্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন। তাহার মৃত্যুর পর তৎপৌত্র শাহ মির্জু চতুর্দশ বৎসর কাল রাজত্ব করেন। তিনি শাহ চুফি নাম ধারণ করিয়াছিলেন। র্তাহার সময়ে কান্দাহার দিল্লীর মোগলগণ কর্তৃক এবং বোগদাদ ছোলতান মুরাদ কর্তৃক অধিকৃত হয়। ইহাতে পারখের বিশেষ ক্ষতি সংসাধিত হইয়াছিল। তৎপরে তদীয় পুত্র ২য় আব্বাছ