পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । )、@。 এক্ষণে উহা রাজধৰ্ম্মে পরিণত হইল। জয়, ধন ও সভ্যতা পারশ্যকে পুনরায় একটা প্রধান স্বাধীন রাজ্যে উন্নীত করিয়াছিল। দেড় শত বৎসর যাবৎ পারশ্যের গৌরব অক্ষুণ্ণ ছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে সম্রাটগণ ক্রমে দুৰ্ব্বল হইয়া পড়েন। ছফবীবংশের ભ সম্রাট শাহ হোছায়েন .৬৫৪ হইতে ১৭২২ খৃঃ অদ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি অতিশয় নম্র ও ধৰ্ম্মভীরু কিন্তু দুৰ্ব্বলচিত্ত ছিলেন। র্তাহার রাজত্ব কালে যাজক শ্রেণীর প্রভুত্ব ঘটে. এবং যুদ্ধকৌশল রাজপরিবার হইতে ক্রমে লোপপ্রাপ্ত হইতে থাকে। অবশেষে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে আফগান প্রজাগণ হইতে পারস্তের ধ্বংশের স্থএপাত হয়। দক্ষিণ আফগানিস্তান সপ্তদশ শতাব্দীতে পারস্তের অন্তর্গত ছিল, এই স্থানে গলজায়ী ও আবদালী জাতি বাস করিত। এক্ষণে পারশ্য সম্রাটের দুৰ্ব্বলতা দেখিয়া দুৰ্দ্দান্ত আফগান জাতি স্বাধীনতা প্রয়াসী হইয় উঠে । কান্দাহারের জনৈক পারশিক শাসনকৰ্ত্ত কঠোরতার সহিত শাসনকাৰ্য্য পরিচালনা করায় ১৭০৮ খৃষ্টাবে গলজয়ী জাতি মীর ওয়াছের নায়কত্বে শাসনকৰ্ত্তাকে নিহত করিয়া কান্দাহার আক্রমণ করতঃ তথায় স্বীয় শাসনদও প্রতিষ্ঠা করেন। ১৭১৭ খৃঃ অ বা বিদ্রোহী নায়ক মাহমুদ গলজায়ী জাতিকে পারশ্যের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে। ইহার ফলে ছফৰী সাম্রাজ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়। মাহমুদ রাজধানী ইস্পাহান আক্রমণ করিলে ১৭২২ খৃষ্টাব্দে ছফবীবংশীয় শাহ হোছায়েন সিংহাসন ত্যাগ করেন এবং পারশ্যে আফগান শাসনের স্বত্রপাত হয়। ১৭২৫ খৃষ্টাব্দে মাহমুদের স্থানে তদীয় পিতৃব্যপুত্র আশরফ অভিষিক্ত হন। কান্দাহার মাহমুদের ভ্রাতার অধীন ছিল। আশরফ র্তাহাকে স্বস্থান হইতে দূরীভূত করিতে সক্ষম হন নাই, সুতরাং গলজাবী জাতি দুই জন নায়কের অধীনতা স্বীকার করিল। রাজ্য হইতে অবসরপ্রাপ্ত, শাহ হোছায়েনের পুত্র মির্জ তামাস্প রাজকীয় উপাধি গ্রহণ করিয়া মাজানারাণ দেশে স্বীয় ক্ষমতা