পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । శిసె আসিতেছিল। ইতিপূৰ্ব্বে বংশানুক্রমে পারস্তের ছফী ও শাহ বংশ ভারতের মোগল সম্রাট্রদিগের মধ্যে উপঢৌকন ও রাজদূতের বিনিময় করিয়া আসিতেছিলেন । একে অন্তের রাজকীয় ব্যাপারে সহানুভূতি ও স্তুতিবাদ জ্ঞাপন করিতেন। ক্রমে দিল্লীর বাদশাহগণ পূর্ব প্রতিষ্ঠিত আকারের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করিতে থাকেন এবং এমন কি, মির ওয়ারেস ও তদীয় পুত্র হোসেনের সহিত সখ্য স্থাপন করেন। পারশ্য হইতে আফগানদিগকে বিতাড়িত করিয়া নাদের শাহ আলী মর্দন খাকে এইরূপ আদেশ দিয়া দিল্লীর সম্রাটের নিকট প্রেরণ করিয়াছিলেন যে, দিল্লীর সম্রাট যেন তদীয় কাবুল মুবাদারকে সাবধান করিয়া দেন। আফগানগণ যেন তাহার রাজ্য মধ্যে পলায়ন করিতে না পারেন । ইহাতে সম্রাটু মোহম্মদ শাহ এই মৰ্ম্মে উত্তর দেন যে, তিনি কাবুলের সৈন্য বিভাগকে তদনুযায়ী কাৰ্য্য করিতে আদেশ দিয়াছেন । তৎপরে নাদের মহম্মদ আলী খান নামক আর একজন দূত প্রমুখাৎ দিল্লীর সম্রাটের নিকট দ্বিতীয়বার ঐরূপ অনুরোধ প্রেরণ করেন। তাহাতেওঁ পূর্বের ন্যায় প্রভুত্তর আসে। যখন গলজাই জাতি পরাস্ত হইয়া মোগল সাম্রাজ্যের গজনী ও কাবুল অভিমুখে প্রস্থান করে, তখন সীমান্ত দেশে উহাদিগকে বাধা দিবার জন্ত কোন মোগল সৈন্ত বা সেনাপতি নিযুক্ত ছিলেন না। পারশিক সেনাপতিগণ নাদের শাহের আদেশ ব্যতীত সীমান্ত দেশ অতিক্রম করিতে না পারায় তাহার। উক্ত ঘটনা নাদের শাহকে জ্ঞাপন করিয়াছিলেন । নাদের শাহ তৃতীয়বার তুর্কোমান মহম্মদ খাকে ভারতবর্ষে প্রেরণ করিয়া সম্রাটের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। দিল্লীর দরবার উক্ত দূতকে প্রত্যাগমন করিবার অনুমতি প্রদান করেন নাই এবং নাদের শাহকে কি জবাব দিবেন, তাহাও স্থির করিতে পারেন নাই। এইরূপে এক বৎসর অতিবাহিত হইলে অগত্যা নাদের ভারত আক্রমণ করিতে মনস্থ করিলেন । ని