পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે8છ মোছলেম জগতের ইতিহাস । । হস্তক্ষেপ না করিয়া মথুরা আক্রমণ করত নগর ও দেব মন্দিরাদি লুণ্ঠন করেন। তৎপরে তিনি ক্রমে লাহোর ও কালিঞ্জরের বিরুদ্ধে অভিযান করেন। অতঃপর তিনি এক বিশাল বাহিনী লইয়া ১০২৪ খৃষ্টাব্দে বিখ্যাত সোমনাথের মন্দির আক্রমণ এবং গুজরাট অধিকার করিয়া স্বরাজ্যে প্রত্যাবর্তন করেন। পারগু-বিজয়ই মাহমুদের শেষ কাৰ্য্য। ইরাকের বিশৃঙ্খল শাসন দেখিয়া মাহমুদ উহা অধিকার করেন। তৎপরে গজনীতে ফিরিয়া আসিয়া ১০৩৩ খৃষ্টাব্দে ৩৩ বৎসর রাজত্বের পর তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। মাহমুদ অনেক মন্দির বিধ্বস্ত করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু কখনও কাহাকে বলপূৰ্ব্বক স্বধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন নাই। তিনি দ্যায়পরায়ণ, কষ্টসহিষ্ণু ও সদ্বিচারক ছিলেন। তৎপূৰ্ব্বে পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশে ইছলাম ধৰ্ম্ম প্রবেশ করে নাই। মাহমুদ, খোরাছান, পারগু, ইরাক, তুর্কিস্তান, কান্দাহার, পাঞ্জাব, মুলতান ও সিন্ধুদেশ স্বীয় রাজ্যভুক্ত করিয়াছিলেন। গোরের দলপতিগণ তদীয় প্রভুত্ব স্বীকার করিয়াছিল। লাহোর তাহার পূৰ্ব্বদেশীয় রাজধানী ছিল। মাহমুদের মৃত্যুর পর পশ্চিমাংশে পারপ্তের ছেলছুকগণ ক্ষমতাশালী হইয়া উঠেন এবং মধ্যভাগে গোর দলপতিগণ মাহমুদের বংশধরগণের উপর প্রভূত্ব স্থাপন করেন। গজনীবংশের সৈন্ত বিভাগে গোরী, আফগান, খিলজি, তুর্ক ও পাঞ্জাবী সৈন্য ছিল। বীর পুরুষ মাহমুদের মৃত্যুর পর ঐ সকল বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত সৈন্যগণকে সুশাসনে রাখা সম্ভবপর হয় নাই। মাহমুদ নিষ্ঠাবান ছুী ছিলেন। তিনি স্বীয় রাজ্য মধ্যে শিয়ামতের পরিবর্তে ছুন্নীমতের প্রধৰ্ত্তন এবং পৌত্তলিক ভারতবর্ষে ইছলামধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। মাহমুদ যেমন ধীশক্তিসম্পন্ন, তেমনই সুচতুর ছিলেন। শাসনকার্য্যে তিনি এতই নিপুণ ছিলেন যে, তাহার অনুপস্থিতিকালেও রাজ্য। মধ্যে কোনরূপ বিশৃঙ্খলা