মোছলেম জগতের ইতিহাস । "እ8ማ ঘটতে পারে নাই। তিনি যোদ্ধা হইয়াও সাহিত্য ও শিল্পের যথেষ্ট জীবৃদ্ধি সাধন করিয়াছিলেন। গয়নীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করিয়া তিনি উহাতে বিভিন্ন ভাষার বিবিধ পুস্তক সংগ্রহ এবং শিক্ষক ও ছাত্রদিগের জন্য রাজকোষ হইতে স্থায়ী সাহায্য দানের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। মাহমুদ বিদ্বন্ম গুলীর সমিতি স্থাপন করিয়৷ বিদ্যোৎসাহিতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন। এতদ্ভিন্ন তিনি শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের পেনসনের জন্য দশ সহস্ৰ পাউণ্ড নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়াছিলেন। তাহার রাজত্বকালে আনছারী ও ফেরদৌসীপ্রমুখ কবিগণ বিশেষ উৎসাহিত হইয়াছিলেন। তৎকর্তৃক নিৰ্ম্মিত একটা মছজেদ প্রাচ্যদেশের একটী বিশেষ আশ্চৰ্য্যজনক বস্তু । ইহা শ্বেত মৰ্ম্মর প্রস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত এবং নানাবিধ কারুকার্য্যে খচিত। ইহার মধ্যে অতি মূল্যবান জাজিম আছে এবং ইহার অভ্যন্তরভাগ রৌপ্য ও স্বর্ণভিরণে ভূষিত। ছোলতান মাহমুদ বহু উৎস, জলাশয় ও সুন্দর হর্ঘ্য নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। তাহার দরবার অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ ছিল। খলিফাগণ র্তাহারই “অন্থকরণে স্ব স্ব রাজধানীর সৌষ্ঠৰ বৃদ্ধি করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি বলপ্রয়োগ না করিয়া কৌশলে সত্যধৰ্ম্ম (ইছলাম) প্রচার করিয়াছিলেন। একজন হিন্দু সাধুকে গুজরাটের সিংহাসমে অধিষ্ঠিত করিয়া তিনি উদারতারও পরিচয় দিয়াছিলেন। ঐতিহাসিক এলফিনষ্টো লিখিয়াছেন যে, তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে কিংবা অবরুদ্ধ দুর্গে ব্যতীত কুত্ৰাপি কোন হিন্দুকে বধ করেন নাই। তিনি পারশিকদিগকে হত্যা করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু অ-মোছলমান চেঙ্গিজের সহিত তুলনায় উই৷ অতি অকিঞ্চিৎকর বলিয়া মনে হয়। তৎপ্রতি ধৰ্ম্মবিস্তারে অনুচিত গোড়ামি প্রদর্শনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি ধৰ্ম্ম-নিষ্ঠ ছিলেন । খলিফার প্রতি র্তাহার সাতিশয় অঙ্কুরাগ ছিল এবং তঁাহাকে ধৰ্ম্মনেতা বলিয়া সম্মান করিতেন। তিনি রাজবিদ্রোহী
