পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । לפאכל পন্ধায়ন করিল। ইহাতে মোহাম্মদ ক্রোধ পরবশ হইয়া কয়েক সহস্র লোকের প্রাণ সংহার করিলেন। ১৩৩৯ খৃষ্টাব্দে পাঞ্জাবের শাসনকর্তা বিদ্রোহী হন। মোহাম্মদ র্তাহাকে পরাজিত ও নিহত করেন। পর বৎসর বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্ত স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ; কিন্তু মোহাম্মদ কিছুতেই তাহাকে বশীভূত করিতে পারেন নাই । মোহাম্মদ তোগলক ভয়ঙ্কর চঞ্চল প্রকৃতির লোক ছিলেন বটে ; কিন্তু তাহার রাজত্বকালে মোছলেম সাম্রাজ্য যথেষ্ট বিস্তৃতিলাভ করিয়া ছিল। বুদ্ধি বিপৰ্য্যয় না ঘটিলে তিনি পৃথিবীতে একজন প্রধান দিগ্বিজয়ী সম্রাটু বলিয়৷ খ্যাতি লাভ করিতে পারিতেন। মোহাম্মদ তোগলক মৃত্যুকালে ফিরোজ শাহ তোগলককে উত্তরাধিকারী মনোনীত করিয়া যান। ফিরোজ শাহ সিংহাসনে আরোহণ করিয়া গুজরাট ও নগরকোট প্রভৃতি স্থান স্বীয় শাসনে অ নয়ন করেন, কিন্তু বঙ্গদেশ ও দাক্ষিণাত্য জয় করিতে পারেন নাই। এই দুই স্থানের মোছলমান ভূপতিগণ এক প্রকার স্বাধীনভাবেই রাজত্ব করিতে থাকেন। তাহারা কেঞ্জল ছোলতানকে সামান্ত মাত্র কর দিতেন । পৌত্তলিকতার ওপথরোধ করিবার জন্য ফিরোজ শাহ ব্রাহ্মণদিগের নিকট হইতে ‘জিজিয়া’ গ্রহণ করিতে আদেশ করিয়াছিলেন । তিনি ছত্রিশ বৎসর কাল রাজত্ব করিয়া ১৩৮৭ খৃষ্টাব্দে স্বীয় পুত্র মোহাম্মদ খাঁর হস্তে রাজ্যভার ন্যস্ত করিয়া অবসর গ্রহণ করেন । মোহাম্মদ খ৷ নাছিকুদিন উপাধি ধারণপূর্বক সিংহাসনে আরোহণ করেন। ইহার রাজত্ব কালে রাজ্যে নানা প্রকার বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় ফিরোজশাহ পুনরায় রাজ্যভার গ্রহণ করিয়া পৌত্র গিয়াছুদিনকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করেন । ১৩৮৮ খৃষ্টাব্দে ফিরোজ শাহ মৃত্যুমুখে পতিত হন। তিনি দানশীল, বিদ্বান ও বুদ্ধিমান ছিলেন। আলজামাসের পুত্র নাছিকুদিন 2 :