পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । שא צ כי ছিলেন এবং আবদালি আফগানগণকে দক্ষিণ আফগানিস্তানের শাসনভার প্রদান করেন। ১৭৪৭ খৃষ্টাব্দে নাদের শাহের হত্যাসংবাদ প্রচারিত হইলে আবদলি আফগান দলপতি. আহমদ শাহ কান্দাহার অধিকার করেন। ইতঃপূৰ্ব্বে তিনি নাদেরশাহের অধীনে সৈন্তবিভাগে নিযুক্ত ছিলেন। পরে নাদেরের সাম্রাজ্যাংশ প্রাপ্ত হইয়া তিনি দুরাণী আখ্যা গ্রহণ করেন। তঁহার ২৬ বৎসর ব্যাপী রাজত্ব কালে তিনি চতুর্দিকে অভিযান প্রেরণ এবং পশ্চিমে কাম্পিয়ান পৰ্য্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেন। ৭৫৬ খৃষ্টাব্দে তিনি ভারতবর্ষ অভিমুখে অগ্রসর হন এবং ১৭৭৩ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি স্বাধীন আফগানিস্তান স্থষ্টি করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। র্তাহার রাজ্য আফগানিস্তান হইতে পাঞ্জাব, কাশ্মীর তুর্কিস্তান, সিন্ধুদেশ, বেলুচিস্তান ও খোরাছন পৰ্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছিল। আহমদ শাহের পুত্র তায়মুর রাজধানী কান্দাহার হইতে স্থানান্তরিত করিয়া কাবুলে আনয়ন করেন। তিনি ২০ বৎসর রাজত্ব করিয়া বিদ্রোহের মূলোৎপাটন করিয়াছিলেন। তাহার পুত্ৰগণ গৃহ বিবাদে লিপ্ত হইয়া বহুকাল যুদ্ধে ব্যাপৃত থাকেন। অতুঃপর বরাকজয়ি সম্প্রদায়ের ফতেহ খা নামক জনৈক ব্যক্তি কিছুকাল রাজত্ব করেন। অবশেষে তিনি ধৃত ও নিহত হন। ফতেহ খার বংশধরগণ কাবুল, গজনি ও কান্দাহার অধিকার করেন। এই সম্প্রদায়ের দোস্ত মোহাম্মদ নামক জনৈক মুচতুর ব্যক্তি কাবুলের অধিপতি হইয়াছিলেন। ইনি প্রাগুক্ত তায়মুরের অধীনে পাচেন্দা খা নামক জনৈক দলপতির পুত্র। র্তাহার শাসনকালে প্রথম আফগান যুদ্ধের স্বত্রপাত হয়। ১৮৩৮–১৮৪২ খৃষ্টাব পৰ্যন্ত এই যুদ্ধ চলিয়ছিল। এই সময়ে আফগান রাজ্যে অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য বর্তমান ছিল। দোস্ত মোহাম্মদ এই সমস্ত রাজ্যকে এক সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত করেন। তাহার মৃত্যুর পর তৎপুত্র শের আলী