পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ጏ ዓ » ইছলামের বিস্তৃতি সাধন করত পুনরায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিতেন। ইহার কারণ, বাবর তাহার জনৈক বন্ধু সমীপে এই প্রকার নির্দেশ করিয়াছিলেন –“হিন্দুস্তানের নগরগুলি অতি কদৰ্য, সকলগুলি দেখিতে প্রায় একই প্রকারের। ! প্রাচীর বেষ্টিত নহে। এখানে উল্লেখ যোগ্য কোন আমোদের বস্তু নাই। অধিবাসিগণ দেখিতে সুত্ৰ নহে ; ইহারা শিষ্টাচার জানে না, হস্ত ও সৌধ শিল্পে ইহাদের দক্ষতা নাই ; এখানে চড়িবার জন্ত সুন্দর ঘোটক, আহারের জন্ত উপাদেয় মাংস কিংবা সুমিষ্ট ফল বা খরমুজ, আঙ্গুর দৃষ্টিগোচর হয় না ; এখানে হাম্মাম বা সৌষ্ঠবযুক্ত এমারত নাই।” বাবরই সৰ্ব্বপ্রথম চিতোরের রাজপুতদিগের বিদ্রোহ দমন এবং আগ্রার নিকট শিক্রির যুদ্ধে রাণ ংগ্ৰামসিংহকে পরাজিত করেন। ১৫৩০ খৃষ্টাব্দে তিনি ইহলোক ত্যাগ করিলে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র নছিকুদিন হুমায়ূন পিতৃসিংহাসনে অভিষিক্ত হন। তিনি , ৫০৮ অব্দে কাবুল,দুর্গে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। হুমাজুল ১৫৩০—১৫৫৩ খ্রঃ অবদ-হুমায়ূনের রাজত্বকালে বাঙ্গালার অধিবাসী আফগানগণ শের শাহের নেতৃত্বে বিদ্রোহী হইয় উঠে। তাহার ফলে শের শাহের প্রভুত্ব উত্তরপশ্চিম ভারতে কিছুকালের জন্ত প্রতিষ্টিত হয়। হুমায়ুন পারগুদেশে পলায়ন করিয়া জীবন রক্ষা করেন। পলায়নকালে সিন্ধু মরুভূমির মধ্যে অমরকোটের দুর্গে তাহার জগদ্বিখ্যাত পুত্র আকবর ভূমিষ্ট হন। শের শাহ কালিঞ্জর দুর্গ অবরোধ কালে নিহত হইলে হুমায়ূন পুনরায় স্বীয় প্রভুত্ব স্থাপন করিতে সুক্ষম হন । তাহার সৈন্তাধ্যক্ষ বৈরাম থা তাহার পক্ষে ১৫৫৪ অব্দে ছেরহিনে স্ফোন্দর শাহের সহিত যুদ্ধে জয় লাভ করেন। তাহারই কৃতকাৰ্য্যতার ফলে হুমায়ূন ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে সক্ষম হন। তিনি বঙ্গে আসিয়া গৌড়ে বাস করিয়াছিলেন। চতুর্দশ বর্ষ বয়স্ক