পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । )br> স্বীয় নাম প্রচলিত করেন। তিনি ক্রমে গ্রীকদের উপরে প্রভুত্ব স্থাপনে সক্ষম হন এবং আইনিগল, বিলেজিক ও জারহিসার প্রভৃতি স্থানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। তুর্কিজাতির ভাবী উন্নতি সম্বন্ধে ওছমান স্বপ্নযোগে কিঞ্চিৎ আভাষ পাইয়াছিলেন । * তিনি নিদ্রাবস্থায় দেখেন, একটা চারাগাছ পরিপুষ্ট হইয়া বিশাল বৃক্ষে পরিণত হইল এবং উহার শাখাগুলি জল ও স্থল, মন্দির ও মিনার, পিরামিড ও স্তম্ভাকৃতি পংক্তিতে সজ্জিত সৈন্ত শ্রেণীর উপর ছায় প্রদান করিতেছে এবং বৃক্ষের মূল হইতে তাইগ্ৰীছ, ইউফ্রেতিছ. নীল ও দানিয়ুব নদী প্রবাহিত হইতেছে এবং ককেশশ, বলকান, টরাস ও আটলাছ পৰ্ব্বত ইহার শাখাগুলি অবলম্বন করিয়া আছে। তিনি আরও দেখিলেন যে, হঠাৎ ঝটিকা উত্থিত হইয়া বৃক্ষের পত্রগুলি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করিয়া কোন একটা সহরের দিকে আবৰ্ত্তিত হইতেছে। সহরটা দুইটা সমুদ্র ও মহাদেশের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এবং উহা দুইটী নীলকান্তমণি ও দুইটী হরিৎমণি শোভিত অঙ্গুরীয়কের ন্যায় উজ্জল দেখাইতেছে। ওছমান নিদ্রাবৈশে যখন অঙ্গুরীয়কটা স্বীয় অঙ্গুলিতে পরিধান করিতে গেলেন, হঠাৎ তাহার নিদ্রা ভঙ্গ হইয়া গেল। এই উজ্জল ভবিষ্যতের আভাষ তাহার জীবনী শক্তিকে এক নববলে সঞ্জীবিত করিয়াছিল। ওছমান সাধারণতঃ তুর্কিজাতির প্রথম ছোলতান বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকেন, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তিনি কিংবা র্তাহার পরবর্তী দুইজন উত্তরাধিকারী "আমীর’ ব্যতীত অন্ত উপাধি গ্রহণ করেন নাই। ওছমানের রাজত্বের শেষ ২৭ বৎসর তিনি স্বাধীনভাবে রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিয়াছিলেন। তিনি যেমন বুদ্ধিমান, তেমনি সাহসী ছিলেন। ওছমানীয় তুর্কিগণ তুর্কমান, মোগল ও অন্যান্ত যাযাবর সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল বটে, কিন্তু ইছলাম ইহাদিগকে একস্থত্রে গ্রথিত, করিয়াছিল । মৃত্যুকালে তিনি