পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ξ • 8 মোছলেম জগতের ইতিহাস । আমার নামের প্রারম্ভে মুস্তফা নাম যোগ করিবার প্রস্তাব করেন। সেই হইতেই আমি মুস্তফা কামাল নামে পরিচিত ।

  • উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করিয়া আমি মনস্তিরে সামরিক কলেজে প্রবেশ করি এবং তৎপরে কনিষ্টান্টনোপলে সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবিষ্ট श्हे ।

“১৯০৮ খৃষ্টাব্দে ছোলতান আবদুল হামিদ সিংহাসন চ্যুত হন এবং রাজ্যে নিয়মতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎপরে রাজ্যের বিভিন্নাংশের প্রতিনিধিবর্গ লইয়া তুরষ্কের জাতীয় দল গঠিত হয়। এই জাতীয় সমিতিই আনাতোলিয়ার শাসন কাৰ্য্য পরিচালন করিতে লাগিল। এই সমিতির স্বকীয় আইন কানুন, সৈনিক ও বিধান স্বতন্ত্র ছিল । যে সকল বৈদিশিক আঙ্গোর পরিদর্শন করিয়াছেন, তাহারা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন যে, পৃথিবীর মধ্যে আমাদের দেশেই প্রজাতন্ত্র বিশেষভাবে বিদ্যমান। এখানে কোন ডিক্টেটর বা রাজা অথবা প্রেসিডেন্ট নাই। সৰ্ব্বপ্রকার শাসন ক্ষমতা জাতীয় সমিতির হস্তে ন্যস্ত। জাতীয় সমিতি সাধারণ প্রজাগণের মধ্য হইতে নিৰ্ব্বাচিত প্রতিনিধিগণ কর্তৃক গঠিত ! “বিভিন্ন প্রদেশ স্থানীয় সমিতি ও প্রতিনিধিগণ কর্তৃক শাসিত হয়। আমরা পুরাতন রাজ্যশাসন প্রণালীর পক্ষপাতী নতি। আমরা স্থানীয় শাসন ভার প্রজাবর্গের হস্তে ন্যস্ত করিয়া প্রজাগণকেই প্রকৃতপক্ষে দেশের শাসন কৰ্ত্ত করিয়া তুলিব । আমাদের শাসন প্রণালী অতি অল্পকাল প্রতিষ্ঠিত বলিয়া যদিও এখন পর্য্যন্ত যুদ্ধ বিগ্ৰহ হইতে নিরস্ত হইতে পারি নাই, তথাপি এই জাতীয় সমিতির কৰ্ম্মশীলতাই আমাদের প্রজাতন্ত্রমূলক শাসন প্রণালীর যথেষ্ঠ প্রমাণ । “দেশকে নুতনভাবে গঠন করিবার জন্য আমাদিগকে অনেক সঙ্কল্প কার্য্যে পরিণত করিতে হইবে। তুরস্কের প্রত্যেক অংশেই প্রজাতন্ত্র শাসনপ্রণালী