পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । وان و ج. ইহাদের আদেশ অমান্য করিলে ২০শে অক্টোবর যুদ্ধ সংঘটিত झुम्न । ইহাতে তুর্কি ও মেছের দেশীয় রণপোত মিত্ৰশক্তি দ্বারা বিধ্বস্ত হয়। অবশেষে ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে রুষিয়া স্থলপথে তুর্কিদিগকে আক্রমণ করিয়া জয়লাভ করে। ইহার ফলে ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে মিত্ৰশক্তিবর্গের ইঙ্গিতানুসারে তুর্কি গ্রীসের স্বাধীনতা স্বীকার করিতে বাধ্য হয় । ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে তুর্কির সহিত গ্রীসের পুনরায় যুদ্ধ ঘটে। তাহাতে তুর্কিগণ বিশেষ সাহসিকতার পরিচয় প্রদান করে। গ্রীকৃগণ ইহাদের সম্মুখীন হইতে সাহস করে নাই, কিন্তু রুষিয়া দ্বারা বাধ্য হইয়া তুর্কি সন্ধি স্থাপন করে। এই সন্ধির ফলে তুর্কি ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত হয়। তুর্কি ও গ্রীসের সীমারেখা পুনঃ নিৰ্দ্ধারিত হয়। তুর্কি ছোলতানগণ খৃষ্টান ধৰ্ম্মাধ্যক্ষদিগকে পূৰ্ব্বপ্রাপ্ত অধিকার ভোগ করিতে অনুমতি দিয়াছিলেন । ইহার রোমক শাসকদিগের দ্যায় অধীন ব্যক্তিবর্গের অধিকারে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিতেন না । রুষ ঐতিহাসিকগণ লিখিয়াছেন, কনষ্টাণ্টাইন ও তাহার পূর্বপুরুষগণ প্রজাদিগের উপর উৎপীড়ন করিতে,উচ্চ রাজপদস্থ ব্যক্তিবর্গকে অনুমতি । প্রদান করিয়াছিলেন। আইন, আদালতে কোন প্রকার বিচারই ছিল না। বিচারকগণ নির্দোষ জনসাধারণের রক্তে ধনসঞ্চয় করিতেন। গ্ৰীক সৈন্তগণ পরিচ্ছদের চাকচিক্যে গৰ্ব্বিত ছিল। নগরবাসিগণ বিশ্বাসঘাতকতার কাৰ্য্য করিতে লজ্জাবোধ করিত না । সৈন্তগণ যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পলায়ন করিতে ইতস্ততঃ করিত না। অবশেষে মহাপ্রভু এই সকল অযোগ্য শাসন কর্তার বিরুদ্ধে হজরত মোহম্মদকে প্রেরণ করেন। মোছলেম যোদ্ধৃবর্গ যুদ্ধ করিতে আনন্দ বোধ করিত। বিচারকগণ আমানত নষ্ট করিতেন না। বায়েজীদ খৃষ্টান প্রজাদিগের প্রতি যথেষ্ট দানশীলতার পরিচয় প্রদান করেন । ২য় মোরাদ সদ্বিচার ও শাসন সংস্কার দ্বারা লোকের চিত্তাকর্ষণ করেন । • ইনি শাসনকর্তৃগণকে প্রজাদের উপর কোনরূপ উৎপীড়ন করিতে সাহস