পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস। । &。4。 স্বত্রে আবদ্ধ হইতে বাধ্য করেন। ১১৯২ খৃষ্টাব্দে জেরুশালেম তাহার প্রভুত্ব স্বীকার করে। তৎপরে জাফা আক্রমণের পর খৃষ্টানদিগের সহিত সন্ধি স্থাপিত হয়। ছালাহউদ্দিন দামেস্কে প্রত্যাগমন করিয়া ১১৯৩ খৃষ্টাব্দের ৪ঠা মার্চ পৰ্যন্ত রোগাক্রান্ত থাকিয় ইহলোক পরিত্যাগ করেন । পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ আয়ূববংশের স্থাপয়িত ছালাহউদ্দিন ইবনেআয়ুবকে ছালাদিন . (Saladin ) নামে অভিহিত করিয়াছেন। ঐতিহাসিকগণ র্তাহাকে খৃষ্টীয় তৃতীয় সম্রাভিযানের (3rd Crusade ) শ্রেষ্ঠ মোছলেম বীর ও মোছলেম শৌর্য্য বীৰ্য্যের চরমাদর্শ বলিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। তিনি শক্রর সহিত কিরূপ উদারতা দেখাইয়াছেন, নিম্নলিখিত ঘটনার দ্বারা তাহ কতকট। সপ্রমাণ হয়, এইরূপ দৃষ্টান্ত জগতের ইতিহাসে একরূপ বিরল। একদিন দুপুর বেলায় তুমুল সংগ্রাম চলিতেছিল । ছোলতান ছালাহউদ্দিন দেখিতে পাইলেন যে, রিচার্ডের ঘোড়৷ আহত হইয়া পড়িয়া গেল এবং দূরে নিক্ষিপ্ত রিচার্ড গাত্ৰোখান: করিয়া চিন্তাক্লিষ্টভাবে তথায় দাড়াইয়া রছিলেন। ইহ দেখিয়া ছালাহউদ্দীন তৎক্ষণাৎ ঘোড়া হইতে নামিয়া পড়িলেন এবং নিজ ঘোড়াটা রিচার্ডকে দিয়া বলিলেন, “ছালাহউদ্দীন বিপক্সের সহিত যুদ্ধ করে না ; সে বীরের সম্মান করিতে জানে।” ছোলতান ছালাহউদ্দীনের মত বীর যে বিপন্ন রিচার্ডের শির নিমিষের মধ্যে গর্দানচ্যুত করিয়া যুদ্ধ জয় করিতে পারিতেন, তাহাতে সন্দেহ করা চলে না, কিন্তু, তিনি তাহা করিলেন না ; বরং নিজের জীবন বিপন্ন করিয়া শক্রকে . নিজের ঘোড়া দিয়া বীর ধৰ্ম্মের মর্য্যাদা রক্ষা করিলেন । , ... " সুবিখ্যাত ছালাহ উদ্দিন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আয়ূববংশ ১২৫০ খৃষ্টাব্দে