পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ মোছলেম জগতের ইতিহাস । *8為 নিহত হন। হিরাক্লিয়সের সহিত তদীয় পুত্ৰ সন্ধিস্থাপন করেন। পরে প্রজাবিদ্রোহের ফলে পারশ্যের পতন হয় । আরবগণ পারশ্য অধিকারের জন্য অগ্রসর হয় । ১৩৫ খৃষ্টাবো পারশ্য সেনাপতি রোস্তম যুদ্ধে নিহত হন। ছাছান বংশীয় শেষ বাজী ৬৫১ খৃষ্টাব্দে স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করেন । লুওয়াক্স বংশ ৯০২–১০৫৫ খ্রষ্টাবদ। — বুওয়ায় জনৈক প্রাচীন পারশ্য নৃপতিবংশীয় দেয়লাম যোদ্ধৃদলের সর্দার ছিলেন। ইনি ৯৩০ খৃষ্টাব্দে ছামানদিগের অধীনে চাকরী করিতেন, পরে গিয়ার বংশীয়দিগের অধীনে নিযুক্ত হন। ইহঁার জ্যেষ্ঠ পুত্র আলী ইমাম্বুদ্দৌলা ফরাজের শাসনকর্তৃত্বে নিযুক্ত হন । আলী দেয়লামদিগের সাহায্যে সত্বর রাজ্য বৃদ্ধি করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। আববাছ বংশ যখন সম্পূর্ণরূপে তুকা সৈনিকদিগের প্রভুত্বাধীন হইয়া পড়িয়াছিল, তখন খলিফা মস্তাক্কী উহাদের দৌরাত্ম্য হইতে রক্ষা পাইবার জন্ত বুওয়ায় বংশের সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন । ইমাদুদ্দৌলার ভ্রাতা আহমদ ময়েজদ্দৌলা ৯৪৫ খৃষ্টাব্দে বাগদাদে প্রবেশ করিয়৷ তুকাদিগকে দমন করিয়াছিলেন এবং তৎপরিবর্তে স্বীয় ক্ষমতা বিস্তার করিয়াছিলেন। তৎপরে খলিফাগণ বুওয়ায় বংশের আমীরগণ কর্তৃক নিৰ্ব্বাচিত হইতেন এবং নির্দিষ্ট বেতন ভোগ করিয়া সন্তুষ্ট থাকিতেন। প্রকৃত পক্ষে বুওয়ায় বংশীয় আমীরগণই রাজত্ব পরিচালনা করিতেন। বাগদাদের খলিফা মস্তাকৃফী ময়েজদ্দৌলাকে *আমীর-উল-ওমারা” উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন। খলিফার ক্ষমতা প্রাসাদ মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বুওয়ায় বংশের ভিন্ন ভিন্ন শাখা ফারেস, কারমান, इँज्ञाक, ইস্পাহান প্রভৃতি স্থানে আধিপত্য স্থাপন করে। ক্রমে ইহারা গজনবী ও ছেলছ্‌ক কর্তৃক পরাস্ত হয়। পাৱশ্যে ইছলাম ঃ-সপ্তম শতাব্দীতে আরবগণ পারশ্য