পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ মোছলেম জগতের ইতিহাস । ミは? পিতা মাতাকে পরিত্যাগ পূর্বক ইস্পাহানের খৃষ্টীয় গীর্জায় উপস্থিত হইয়া খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। তৎপরে তিনি খৃষ্টধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া ইছলাম ধৰ্ম্ম গ্ৰহণাস্তর মহম্মদের (দঃ) আছহাবমণ্ডলী মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়া সম্মানিত হইয়াছিলেন । তিনি হজরতের বড়ই প্রিয়পাত্র ছিলেন এবং মদিনার নবগঠিত মোছলেম সমিতির অষাচিত সেবা করিয়াছিলেন। পারশ্য দেশ স্বীয় স্বাধীনতা হইতে বঞ্চিত হইলেও বিশাল মোছলেম সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত হহয়! সৰ্ব্ববিধ উন্নতির অধিকারী হইয়াছিল। তৎকালীন ইছলামিক উদারতা সম্বন্ধে ঐতিহাসিকগণ এরূপ লিখিয়াছেন,"মোছলেমগণ পার্থিবজয়ের জন্ত যুদ্ধ করে নাই, যেহেতু মোছলেমদিগের মধ্যে অনেকেই জাকাত ও খায়রাতে বহু অর্থব্যয় করিত এবং উহার প্রতিদানের জন্য আল্লাহ ভিন্ন অপর কাহারও মুখাপেক্ষী থাকিত না । খলিফা হজরত আবুবকর (রাঃ) যোদ্ধগণকে লুষ্ঠিত দ্রব্যের এক অংশ লাভের অধিকার দিয়াছিলেন । যখন কোন দেশ হইতে মদিনা নগরে কোন অর্থ আসিত তৎক্ষণাৎ উহা সকলের মধ্যে নিয়মানুসারে বটিত হইত। ৬৩৬ খৃষ্টাব্দে খলিফা ওমর রাঃ) দেশের পর দেশ জয় করিতে লাগিলেন এবং অপরিমিত রৌপ্য ওঁ স্বর্ণমুদ্রা আসিতে লাগিল, তখন তিনি ঐ সকল অর্থ বণ্টন করিবার জন্য কতিপয় বিধি লিপিবদ্ধ করেন। ঐ সকল বিধি পারশ্যের দেওয়ান হইতে সংগৃহীত হইয়াছিল। যদিও পারগু বিজয়ের পর জরদাস্ত ধৰ্ম্ম রাজধৰ্ম্ম বলিয়া অনুমোদিত হইত না, তথাপিও উহ! পারগু দেশ হইতে সম্পূর্ণরূপে অন্তৰ্হিত হয় নাই । অনেকে আরব আক্রমণের পূৰ্ব্বে পারগু উপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে এবং তথা হইতে ভারতবর্ষে আসিয়া মুরাত ও বোম্বাই প্রভৃতি স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করে কিন্তু অনেকেই কোর-আন গ্রহণ না করিয়া স্বীয় ধৰ্ম্মপুস্তক আবেস্তার পক্ষপাতী ছিল এবং স্বীয় ধৰ্ম্মে থাকিতে মনস্থ করিয়াছিল ।