পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*(t8 মোছলেম জগতের ইতিহাস । j সৰ্ব্বদা পরমাত্মাকে বিদ্যমান দেখিতেন। ই হারা অপ্রকৃতত্বের মধ্যে প্রকৃতত্ব দেখিয়া জীবন সার্থক করিতেন, অস্থায়ী অস্তিত্বের মধ্যে স্থায়ী অস্তিত্ব উপলব্ধি করিতেন ; এবং সৰ্ব্ব কার্ষ্যে মঙ্গলময়ের মঙ্গল ইচ্ছা অনুভব করিতেন ; স্বীয় ইচ্ছ। সৰ্ব্বদা জলাঞ্জলি দিয়া কেবল মহাপ্রভুর ইচ্ছার আশ্রয় গ্রহণ করিতেন ভোগ-বিলাস, আত্মসম্মান, অহঙ্কার, ঈর্ষাকে বিদায় দিয়া ইহার কেবল সমগ্র জগতের উপকার সাধনে তৎপর থাকিতেন। সত্যের জন্ত জীবন পাত করিতে ইহাদের দ্বিধা জন্মিত না । ই হার কোন বিশেষ ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছিলেন না। সৰ্ব্বশ্রেণীর লোককে সমচক্ষে দেখিতেন, ইহাদের অনেকেই কবিত্বে বিশেষ প্রতিষ্ঠাবান ছিলেন। ফরিদ উদ্দিন আত্তার, শাম্ছে তাব্রিজ, জালাল উদ্দিন রুমি, সাদি, হাফেজ প্রভৃতি ছুফি কবিগণের নাম বিশেষ প্রসিদ্ধ। ইহাদের প্রণীত পুস্তক মধ্যে দেওয়ান, গোলেস্তী, বোস্তা, মছনবী, রেয়াজুল আরেফিন, মজহারুল আজায়েব, এলাহিনামা, মুছিবতনাম, পন্দেনামা কার্য্যক্ষেত্রে বিশেষ প্রশংসা লাভ করিয়াছে । পারশ্য ভাষায় কছিদ, গজল প্রৰীত হইয়া বিশেষ খ্যাতি অর্জন করিয়াছিল। গজনীর মাহমুদ আরবীর পরিবর্তে পারশ্যভাষাকে রাজভাষায় পরিণত করিয়াছিলেন। ই হারই আদেশ অনুসারে ফেরদৌসি কর্তৃক পারশ্য ভাষায় প্রসিদ্ধ শাহ নামা কাব্য রচিত হইয়াছিল। মাহমুদ পারশিক ভাষার অবতারণা করিয়া পারশ্যকে বাগদাদের প্রভাব হইতে মুক্ত করিয়াছিলেন। মাহমুদের পূৰ্ব্বে পারশ্যে আরব বিজয়িগণ প্রাচীন পাহলভী ভাষার পরিবর্তে আরবী ভাষা প্রবর্তন করিয়াছিলেন। আরবদিগের পর হইতে বর্তমান কাল পর্য্যস্ত পারশ্যে পরিশিক ভাষা প্রচলিত আছে। পারশ্যের মোট লোক সংখ্যা এক কোটী, তন্মধ্যে মোছলেম ৯৩ লক্ষ ৫০ হাজার। .