পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミぐのo মোছলেম জগতের ইতিহাস । f দশম শতাব্দী হইতে বৰ্ত্তমান নামে পরিচিত। আফগানদিগের ভাষা পোশত । অধিবাসিগণ পাশ তানা বা পাখতান নামে অভিহিত হইত। পাথতান শব্দের অপভ্রংশে “পাঠান’ হইয়াছে । আফগান জাতি ছুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত, শিয়াধৰ্ম্মাবলম্বী বহু পারশিক আফগানিস্তানে দৃষ্ট হয়। হিন্দুগণ সামান্ত কর দিতে স্বীকার করিলে বিনা আপত্তিতে এখানে বসবাস করিবার অনুমতি পায়। খৃষ্ঠানগণের প্রতি কোন অত্যাচার বা তাহাদের প্রতি কোনরূপ কুৎসাবাদ করা হয় না । আফগান গণ মোল্লাদিগকে অত্যন্ত সন্মান করে, ইহারা অতীব অতিথিপরায়ণ, এমন কি ঘোরতর শক্র কাহারও গৃহে আসিয়া আশ্রয় লইলে স্বীয় জীবন নিরাপদ মনে করে। ইহার উচ্চ শিক্ষিত ও মার্জিত না হইলেও বিবেকী ও ধীশক্তিসম্পন্ন। ইহারা অত্যন্ত বলিষ্ঠ । পারশিকদিগের সহিত ইহাদের আচার ব্যবহারের ও বেশ বিদ্যাসের কিযুৎ পরিমাণে नानृथ झूठे शञ्च । স্থানীয় অধিবাসির আফগানিস্তানকে “ইরাকে খোরাছান বলে”। লোক সংখ্যা ৪৬,০০,০০০ । প্রায় সকলেই ছুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত, অল্প সংখ্যক মাত্র শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। ভাষা পোশত । " স্বাধীন আফগানিস্তানের:ইতিহাস ১৭৪৭ খৃষ্টাব্দ হইতে আরম্ভ । গোরী ংশের সিংহাসনচ্যুতির পর আফগানিস্তান পারতের ইস্পাহানদিগের একটা শাসনাধীন প্রদেশ ছিল। তৎপরে ইহ তায়মুর রাজত্বের অঙ্গীভূত হয় । ভারতবর্ষে মোগলাধিপত্য অনুষ্ঠানের পর হইতে আফগানিস্থান কখনও পারশ্য শাহের রাজ্যভুক্ত এবং কখনও মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল। কাবুল, কান্দাহার সাধারণতঃ মোগলদিগের অধীন ছিল । সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর হেরাত পারতের অন্তৰ্ভুক্ত হয় । ১৭৩৭ খৃষ্টাব্দে নাদের শাহ কাবুল ও কান্দাহার আক্রমণ করেন। ১৭৪৭ খৃষ্টাকে তাহার হত্যার পর