পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস। శిసె b বিভিন্ন শ্রেণীর বিদ্যালয়সমূহের মোট মোছলেম ছাত্রসংখ্যা ১৫,৬২,০ • • । প্রতি সহস্ৰ লোকের মধ্যে মাত্র ৬৯ জন পুরুষ ও ৪ জন স্ত্রীলোক লিখিতে ও পড়িতে পারে । ভারতবর্ষের মোছলেম সাধারণতঃ চারিভাগে বিভক্ত। ১ম যে সকল মোছলেম অন্যান্য দেশ হইতে সিন্ধু ও পঞ্জাব প্রদেশে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল। ২য় আরবজাতির বংশধরগণ । ৩য়—যাহার ভারতবর্ষের পশ্চিম উপকূলে বাণিজ্য উপলক্ষে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল । ৪র্থ-অন্যান্য জাতি যাহারা মোছলেম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিল। অর্ণ হজরতের মৃত্যুর ১৫ বৎসর পরে আরবগণ সিন্ধুদেশ আক্রমণ করিয়াছিল ৭১১ খৃঃ অব্দে মোহাম্মদ বিন কাছেম দামেস্কের উন্মায়া বংশীয় খলিফার পক্ষ হইতে সিন্ধুদেশ আক্রমণ ও অধিকার করেন। তৎপরে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত ক্রমান্বয়ে বহু মোছলেম আক্রমণকারী উত্তর পশ্চিমাঞ্চল হইতে ভারতবর্ষে প্রবেশলাভ করিয়াছিল। গজনীর ছোলতান মাহমুদ ও তায়মুর ভারতবর্ষে ইছলাম বিস্তৃতির সহায়তা করিয়াছিলেন। খিলজি, তোগলক ও লোদী, বংশের রাজত্বের সময়ে ইছলাম প্রচারে বিশেষ সুযোগ ঘটে নাই। যেহেতু সকলেই যুদ্ধ লইয়া ব্যস্ত ছিল । ইছলাম ধৰ্ম্ম যে অসি সাহায্যে প্রচারিত হয় নাই, তাহার প্রধান প্রমাণ এই যে, মোছলেম শাসনের কেন্দ্রভূমি দিল্লী ও আগ্রা সহরে মোছলেম সংখ্যা বর্তমান সময়েও যথাক্রমে দশমাংশ ও চতুর্থাংশের অত্যধিক নহে। দক্ষিণ ভারতে আরবগণ অষ্টম শতাব্দীতে ব্যবসায় উপলক্ষে উপ নবেশ স্থাপন করিয়াছিল। পর্তুগীজগণ না আসিলে সমস্ত উপকূল মোছলেম चार्बी পূর্ণ হইত। অনেকে মোছলেম সৈনিক শ্রেণীভূক্ত হইবার জন্ত পূৰ্ব্বকালে ভারতবর্ষে প্রবেশ করিয়াছিল। এ দ্ব্যতীত মোছলেম সাধুপুরুষদিগের সংস্রবুে