পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૪૨ মোছলেম জগতের ইতিহাস । আসিয়া অনেকে ইছলাম গ্রহণ করিয়াছিল। আরব, তুর্ক, পাঠান ও মোগল বিজেতৃগণ যখন ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন, তখন র্তাহাদিগের সহিত বহুসংখ্যক বিদ্যোৎসাহী কবি, যাজক ও ভাগ্যান্বেষী ব্যক্তি ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন । , ইহা ছাড়া মণি, মুক্ত ও সুগন্ধি মসলা প্রভৃতির ব্যবসায় উপলক্ষে ও চাকরীর অন্বেষণে বহুসংখ্যক লোক এদেশে আগমন করিয়াছিল। - ব্যবসায়ই গুজরাট ও দক্ষিণাত্যের মোছলেম প্রাধান্যের প্রধান কারণ। আরব ও পারস্যের সওদাগরগণ লাক্ষা ও মাল দ্বীপে অবস্থিতি করিয়া ইছলামের বিস্তৃতি সাধন করিয়াছিল। এই সমস্ত দ্বীপে বৰ্ত্তমান সময়ে অন্য জাতির বসতি নাই । ভাৱতবস্ত্ৰে পাচাল রাজত্ব।—আরবগণ হেরাত অধিকারের পর ৬৬৪ খৃঃ অব্দে কাবুলে এবং তথা হইতে মুলতানে উপস্থিত হন। সমুদ্রপথে সিন্ধুমুখে কয়েকবার অভিযান প্ররিত হইয়াছিল। ৭১১ খৃঃ অব্দে বছরার শাসনকৰ্ত্তা হাল্লাজের ভ্রাতুষ্পপুত্র মোহাম্মদ কাছেম সিন্ধুদেশ অধিকার করেন। আরবদিগের হিন্দুস্থানের অধিকার অধিককাল স্থায়ী হয় নাই। সৰ্ব্বপ্রথমে আফগানিস্তানে স্বাধীন মোছলেম রাজত্বের স্বষ্টি হয় এবং তথা হইতে ভারতাধিকার আরম্ভ হয় ৷ ছামান বংশীয় শাসনকৰ্ত্ত আলপ্তগিন গজনীতে স্বাধীন রাজত্বের বুনিয়াদ সৰ্ব্বপ্রথম স্থাপন করেন। দুই শতাব্দী পৰ্য্যন্ত গজনী মোছলেম রাজধানী ছিল। তথা হইতে গজনী বংশ লাহোরে উপনিবেশ স্থাপন করেন। সেই সময় হইতেই প্রকৃত মোছলেম শাসন কালের প্রারম্ভ । আলপ্তগিন খোরাসানে সৈন্যাধ্যক্ষ ছিলেন। ইনি জনৈক তুর্ক দাস ছিলেন। ছামান নৃপতিগণ দায়িত্বপূর্ণ শাসনকার্য্যে ক্রীতদাসদিগকে নিযুক্ত