পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిg o মোছলেম জগতের ইতিহাস । বঙ্গদেশের রাজধানী ছিল। মোছলমান শাসনকর্তৃগণ ইছলাম বিস্তারের অনেক সহায়তা করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মণপুত্র মুরশিদকুলি খাঁ আওরঙ্গজেব কর্তৃক বঙ্গদেশে গভর্ণর নিযুক্ত হয় মোছলমান সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে বিশেষ সচেষ্ট হন। চট্টগ্রামের আছাদ আলি খাঁর পূর্বপুরুষগণ হিন্দুধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া ইছলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে। এতদ্ভিন্ন হজরত বাই-উল-হক, বাবা ফরিদ উদ্দিন, খাজা মাইনুদিন চিশতি শেখ জালাল উদ্দিন আৰু আলি কালানার প্রভৃতি দরবেশগণ কর্তৃক ইছলাম বিস্তৃতির যথেষ্ট সহায়তা ঘটয়াছিল। এই ধৰ্ম্ম সাধারণের সহজবোধা, তাই দরিদ্র ও সাধারণ লোক বহু পরিমাণে ইছলাম গ্রহণ করিয়াছিল। ভো কৰ্ণ –১৬০৮ খৃষ্টাব্দ হইতে ঢাকা বিশেষ উল্লেখ যোগ্য হইয়া উঠিয়াছিল। চট্টগ্রামের মগ দমুদিগের উৎপীড়ন এবং আফগানদিগের বিদ্রোহ দমন করিবার জন্ত বঙ্গের রাজধানী রাজমহল হইতে ঢাকায় স্থানান্তরিত হইয়াছিল। লোক সংখ্যা ২৯,৬০,৪০২, তন্মধ্যে : অংশ মোছলমান। বিক্রমপুর ও সোণারগাও ইহার অন্তর্গত দুইটী পুরাতন রাজধানী । বিক্রমপুরে হিন্দুরাজগণ অবস্থিতি করিতেন এবং সোণারগাঁয়ে আলাউদিনের সময় হইতে মোছলমান শাসকগণ তিন শত বৎসর কাল অবস্থান করিয়াছিলেন । , ১৬০৮ খৃষ্টাব্দে জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে বঙ্গদেশের শাসনকৰ্ত্তা শেখ ইছলাম খাঁ রাজমহল হইতে ঢাকায় রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়৷ ইহাকে জাহাঙ্গীর নগর আখ্যা দিয়াছিলেন । আরাকান ও পর্তুগীজদিগের আক্রমণ হইতে সীমান্তপ্রদেশ রক্ষা করিবার জন্ত রাজধানী পরিবর্তন করা হইয়াছিল। মীর জুমলা ও শায়েস্তা খ। বঙ্গদেশের দুইজন প্রধান শাসনকর্তা ছিলেন। মীর জুমলা আসাম অধিকারের জন্য বৃথা চেষ্টা করিয়াছিলেন। শায়েস্তা খ৷ সোধশিল্পের উন্নতির জন্ত খ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন । ১৭০৪ খৃষ্টাব্দে