পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । wo, o S. মুর্শিদকুলি খ মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়ছিলেন। ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ঢাকার শাসনভার জনৈক নায়েবের হস্তে স্তস্ত ছিল । সার আবদুল গণি বাণিজ্যের দ্বারা বহু অর্থ ও তৎসঙ্গ সম্মান লাভ করিয়া গভর্ণমেণ্টের নিকট হইতে “নখাব” উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । তিনি ঢাকা নগরীতে জলের কল এবং তদীয় পুত্র নবাব আহছান উল্লা বৈদ্যুতিক আলো সংস্থাপিত করিয়াছিলেন। নবাব সার ছলিম উল্লা পূর্ববঙ্গের মোছলেম সমাজের নেতা ছিলেন। মলিক্স দ্বীপপুঞ্জ —এই দ্বীপ পুঞ্জের অধিকাংশ মোছলমান শাফেয়ী শ্রেণীভূক্ত। আরবগণ অষ্টম শতাব্দীতে পূৰ্ব্বদেশে বাণিজ্য করিতে আসিয়াছিল, ক্রমে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হইয়া উপনিবেশ স্থাপন করে। পর্তুগীজদিগের আসিবার পূৰ্ব্বে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত তাহার অবাধে পুৰ্ব্বদেশের সহিত বাণিজ্য করিতেছিল। আরবদেশ হইতে সুমাত্রা দ্বীপে ইছলাম প্রচারিত হয়। মালয় উপদ্বীপে অধিবাসীর সংখ্যা মোট ২৪ লক্ষ, তন্মধ্যে মোছণুের সংখ্যা ১১ লক্ষ। সুমাত্রা–বিখ্যাত অরঞ্চ ভ্রমণকারী ইবনে বতুতা সুমাত্রায় ইসলামের বিশেষ সমৃদ্ধি দর্শন করিয়াছিলেন। ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এখানকার রাজাও মুসলমান হইয়া যান। চতুর্দশ শতাব্দীতে সুমাত্রায় যিনি রাজত্ব করিতেছিলেন, তাহার নাম ছিল খলিফ তাহের-বিন-মালিক ছালেহ, । মালক্কা দ্বীপ হইতে পারসিক বণিক দ্বারা যাব। দ্বীপে ইছলাম প্রবৰ্ত্তিত হয়। পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে এই দেশে ইছলাম বিস্তৃতি লাভ করে। শ্ৰাবা-মালয় দ্বীপপুঞ্জের সর্বপ্রধান দ্বীপ। পুরাকালে ইহা সমুদ্র মধ্যে নিমজ্জিত ছিল। তৎপরে আ৷ গ্লয়গিরির উৎপাতে চার হাজার ফুট