পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ৩ ও ৩ পাদ্রী লেফ্রয় (Lefroy) ইছলাম সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন —“ইছলাম বিস্তৃতির অত্যাশ্চৰ্য্য রহস্ত এই যে, ইহা স্বষ্টিকৰ্ত্তার অনন্ত ক্ষমতা ও মাহাত্ম্য স্বীকার করে । পৃথিবীর অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে একটা মূল উ দপ্ত নিহিত আছে। মানব ঐ উদেপ্ত পূর্ণ করিবার জন্য স্বঃ ; মোছলেম অনন্ত ইচ্ছাশক্তির সেবক, এই শিক্ষাই মোছলেমকে মৃত্যুর সঙ্গী হইতে শিক্ষা দেয় এবং সমস্ত কার্য্যের মধ্যে অনন্ত ইচ্ছশক্তির তাবেদারী করিতে এবং স্বষ্টিকৰ্ত্তার ইচ্ছা পূর্ণ করিতে বল প্রদান করে । এই শিক্ষাবলে মোছলেম চরিত্র গঠন করিতে সক্ষম হয় এবং একাগ্রতার সহিত স্বীয় উদ্দেগু পালন করে এবং অতি কঠোর বিপদের মধ্যে সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে ” কেহ কেহ মনে করেন, রাজ্য বৃদ্ধির সহিত ইছলাম বিস্তৃতি সংশ্লিষ্ট, কিন্তু ইহা সত্য নহে, অপর পক্ষে রাজশক্তির হ্রাস এবং পার্থিব অবনতি ইছলামের উন্নতির অবসর দেয়। ইংরেজ অধীনে মাছলেমগণ কাৰ্য্যতৎপরতার বিশেষ পরিচয় দিতে সক্ষম হইয়াছে। ভারতবর্ষ ও মালয় দ্বীপের মোছলেমগণ ইছলাম বিস্তৃতির জন্য বেরূপ উৎসাহ ও উত্তম দেখাইয়াছে, তুরস্কের মোছলমানগণ তদ্রুপ পরিচয় দিতে সক্ষম হয় নাই। ইহাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, ইছলাম বিস্তৃতি কোন রাজত্বের উপর নির্ভর করে নাই । ইহার অন্তঃশক্তি সৰ্ব্বত্র অপ্রতিহতভাবে কাৰ্য্য করিয়ছে। ইছলামের সাম্যবাদ অতি উচ্চ। মোছলেম রাজত্বে নানা ধৰ্ম্মাবলম্বী বহুকাল যাবৎ মুখ ও স্বচ্ছন্দে কালাতিপাত করিয়াছে। ইউরোপীয় কোন রাজ্যে বৰ্ত্তম ন কাল ব্যতীত এইরূপ সাম্যনীতির দৃষ্টান্ত দেখাইতে সক্ষম হয় নাই। “ কোরাণ জবরদস্তির সহিত ইছলাম বিস্তার নিষেধ করিয়াছে, “ধৰ্ম্মে কোন প্রকার বাধ্য বাধকতা হইতে দিবে না” (২-২৫৭), "লোকদিগকে বিশ্বাসী (মোছলেম ) করিতে বাধা করিবেঃ