পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোছলেম জগতের ইতিহাস טא כי তুলনায় মোছলেমদিগের ক্ষমতা বড়ই অপ্রতুল ছিল। রোমক সম্রাট হীরাক্লিয়স স্বয়ং আক্রমণকারিদিগের সম্মুখীন হইয়াছিলেন এবং আরব সেনা-নায়কদিগকে বিনাশ করিবার জন্ত নানাপ্রকার উপায় উদ্ভাবন করিয়াছিলেন । উভয় পক্ষে দুই মাস পরস্পরের প্রতীক্ষণ করার পর অবশেষে হজরত ওমর ক্যালডিয়া হইতে অলিদপুত্র খালেদকে শামদেশে প্রেরণ করেন। এয়ারমুক নামক স্থানে ৬৩৬ খৃষ্টাব্দে রোমকুগণ সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইল। সেনা-নায়ক খালেদ বহুসংখ্যক রোমক সৈন্ত হত্যা করিয়া ছিলেন। কতক রোমক সৈন্তকে নদীগর্ভে নিমজ্জিত করা হইয়াছিল। হজরত ওমর খালেদের এতাদৃশী নিষ্ঠুরতা অনুমোদন না করিয়া তাহাকে সেনা-নায়কত্ব হইতে বিচ্যুত করিয়া তৎস্থলে আবু ওবায়দাকে প্রধান সেনাপতির পদে নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেন। খালেদ আবু ওবায়দার কর্তৃত্বাধীনে থাকিয় ক্রমে দামেস্ক, আলেপ্পো, কিন্নিসরিণ, এপিফেনিয়া প্রভৃতি দেশ হস্তগত করিলেন। অবশেষে মোছলেমগণ রোমক সাম্রাজ্যের পূৰ্ব্ব রাজধানী এন্টিওক অভিমুথে অগ্রসর হইল। এখানেও রোমকগণ পরাজিত হইল। পরে মোছলেম সৈন্য আমরের নায়কত্বে প্যালেষ্টাইনে জয় লাভ করিল। স্থানীয় রোমক শাসনকর্তা বহুসংখ্যক সৈন্ত লইয়া জেরুণালেমের পূৰ্ব্ব প্রান্তে উপস্থিত হইলেন। রোমৃকগণ পুনরায় যুদ্ধে পরাজিত হইল। তৎপরে পরাজিত সৈন্তগণ জেরুশালেমে আশ্রয় গ্রহণ করিল। তথাকার ধৰ্ম্মাধ্যক্ষ সন্ধি প্রার্থনা করিলেন, কিন্তু তিনি খলিফা ভিন্ন অপৰ্ম্ম কাহাকেও ঐ স্থান সমর্পণ করিতে ,স্বীকৃত হইলেন না। তদনুসারে হজরত ওমর বিনু আড়ম্বরে একাকী জবিয়া নামক স্থানে উপস্থিত হইলেন। ঐ স্থানে জেরু, শালেম হইতে ধৰ্ম্মাধ্যক্ষ কর্তৃক প্রেরিত প্রতিনিধিবর্গও উপস্থিত হইল। হজরত ওমর উহাদিগকে ধৰ্ম্মে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদানের সঙ্গে সাম কর • প্রহণে গীর্জাগুলির অধিকার প্রদান করলেন।