পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

い")&bア মোছলেম জগতের ইতিহাস কালে, দুর্গে বা যুদ্ধক্ষেত্রে, স্বপক্ষে বা বিপক্ষে তাহাবা সৰ্ব্বদা নৈতিক ও আধাত্মিক বলের পরিচয় দিতে সমর্থ, তাহারা অসম সাহসী, মৃত্যুর জন্য অসঙ্কুচিত, স্বষ্টিকৰ্ত্তার প্রতি তাহাদেৱ অটল ভক্তি, হজরত মোহাম্মদের প্রতি তাঙ্গদের দৃঢ়বিশ্বাস । আনি তাহাদের বিদ্যা, অসাধারণ ধৰ্ম্মবল ও প্রভৃভক্তি দেখিয়া স্তম্ভিত ও মুগ্ধ হইয়াছি। তাহাবা প্রকৃতই ইছলামের উপযোগী এবং ইছলাম তাছাদের উপদোগী। ইছলামের শক্তি বৰ্ব্বর মানবকেও অতি উচ্চ আদর্শে পরিণত করিতে সক্ষম, ইহা নিঃসন্দেহ ।” ইছলম সভ্যভাৱ উৎস—ইছলাম পৃথিবীতে সে এক আশ্চর্য্য পরিবর্তন আনয়ন করিয়াছিল, সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাসে তাহার বিশেষ উল্লেখ আছে । বিদ্বৎমণ্ডলী এক বাক্যে স্বীকার করিয়াছেন যে, সমগ্র জগৎ একই উদ্দেশ্রে স্বল্প ও একই নিয়মে পরিচালিত । পৃথিবীতে যে সকল জাতির অধিবাস আছে, সকলই স্বষ্টিকৰ্ত্তার মহৎ উদ্দেশু সাপন করিতেছে । প্রাচীন গ্রীকগণ চিরন্তন সোন্দর্য্যের উপাসক ছিল। রোমক জাতি স্থনিয়ম ও সুশৃঙ্খলা বিধান করিয়াছিল। প্রাচ্য জাতি সমগ্র জগতে এক অদৃষ্ঠ শক্তির অন্বেষণে ব্রতী ছিল। গ্রীক ও রোমক সকলেই প্রজাতন্ত্র সৃষ্টির সূচনা করিয়াছিল s মোছলেম দাসত্ব প্রথার পরিবর্তে স্বাধীনতা ও নিয়মানুবৰ্ত্তিতা প্রবর্তন করিয়া সামাজিক সুখ ও শান্তির বিধান করিয়াছিল । মোছলেম জাতির প্রচেষ্ট কেবল সমাজ ও দেণ লইয়া সীমাবদ্ধ ছিল না। তঙ্গর বহুত্ব ভেদ করিয়া একত্বে পৌছিয়াছিলেন এবং পুথিবীতে নবশক্তির সঞ্চার করিয়া সমগ্র মানব জাতিকে এক ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছিলেন। ইহুদী ও গুপ্তানগণ যে ধৰ্ম্মভাবের সূচনা করিয়াছিলেন, মোছলেমগণ তাঙ্গর সম্পূর্ণত সাধন করিয়া সমগ্র পৃথিবীকে চমৎকৃত করিয়াছিলেন । মোছলেম আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বিজিত দেশসমূহে সভ্যতার বীজ অনতিবিলঙ্গে অঙ্কুরিত হইয়াছিল। মোছলেমদিগের অনুপম কাৰ্য্য