পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• JV) o মোছলেম জগতের ইতিহাস । বর্তমান সভ্যজগতে মোছলেম ইতিহাসের সম্যক আলোচনা হয় না, তাই মোছলেমের কুৎসা সৰ্ব্বত্র শ্রত হয় । হারুণ-অর-রশিদের সাহায্যে পৃথিবীর পরিধি স্থিরীকৃত হইয়াছিল, বোগদাদের জনৈক বৈজ্ঞানিক আলোকের গতি নিৰ্দ্ধারণ কুরিয়াছিলেন ; খন্দক যুদ্ধ প্রণালী হজরত মোহাম্মদ কর্তৃক প্রবর্তিত হইয়াছিল ; ছোলতান ছালাহউদ্দিন আগ্নোৎসারক তোপের স্বষ্টি করিয়াছিলেন ; বৈজ্ঞানিক আল হাছন টলেমির “চক্ষু হইতে আলোক বিকীরণের” ভ্রান্তমত দূর করিয়াছিলেন এবং বায়ুর মধ্যে কিরণের বক্রপথ প্রদর্শন করিয়াছিলেন । মোছলেম বৈজ্ঞানিক সৰ্ব্বপ্রথমে স্থির করিয়াছিলেন যে, উদ্ধতার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্বের হাস হয়, মাধ্যাকর্ষণ ও কৈশিক আকর্ষণ মোছলেম বৈজ্ঞানিক সৰ্ব্বপ্রথম আবিষ্কার করিয়াছিলেন, মোছলেমগণ প্রথমতঃ বোম্যান আবিষ্কার করিয়াছিলেন, মোছলেমগণ রসায়ণ শাস্ত্র, স্থপতিবিদ্যা, বীজগণিত, চিকিৎসা বিদ্যার প্রবর্তন ও পরিপুষ্টি সাধন করিয়াছিলেন, এই সমস্ত অবিসম্বাদিত সত্য তাহারা জানিয়াও স্বীকার করিতে চায় না। হায়! সময়ের কি বিপৰ্য্যয়, য়ে মোছলেমগণ বিদ্যানীতি, সদাচার ও সভ্যতার আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করিয়াছিলেন, আজ সেই মোছলেম জাতি অপর জাতি দ্বারা লাঞ্ছিত। গয়! ভাগ্যের কি পরিবর্তন ! যে “আলহামরা জগতে সুপ্রসিদ্ধ, যে ‘আজহার’ সৰ্ব্বত্র প্রশংসিত, যে ‘দেওয়ানে আম’ সৰ্ব্বজনবিদিত, যে তাজমহল প্রাসাদ মধ্যে অগ্রণী, তাহাদের নিৰ্ম্মাতা আজ জগতে অনাদৃত। মোছলেম সমাজে ব্যভিচার, মদ্যপান, দূতক্রীড়া অতি বিরল। যে সকল কুপ্রথা যুরোপে অপরিহার্য্য বলিয়া বিবেচিত, ইছলাম অনায়াসে তাহা নিবারণ করিয়াছে। মোছলেম মিতাচার ও আত্মসংযম সম্বন্ধে কেবল বক্তৃতা দিয়াই ক্ষাস্ত থাকে না, কাৰ্য্যতঃও তাতার অনুসরণ