মোছলেম জগতের ইতিহাস । ぐか○> করে। বাল্যবিবাহের প্রশ্রয় দিলেও মোছলেম সামাজিক বিপ্লব হঠতে দূরে থাকে। ইহাতে নৈতিক উন্নতির অন্তরায় ঘটে না। খৃষ্ঠায় যাজকশ্রেণী পুস্তক ও বক্তৃতা দ্বারা ইছলাম বিদ্বেষ বিক্ষিপ্ত করিয়াছে। খৃষ্ট ধৰ্ম্ম কখনও মোছলেম ধৰ্ম্মকে অপসারিত কুরিতে সক্ষম হুইবে না। যদি ইছলামের অপবাদ পরিত্যাগ করিয়া পাদ্রিগণ স্বীয় সমাজের সহস্র পাপ ও কদাচারের প্রতিরোধ কল্পে সযত্ন হইতেন, তবে জগতের বহু কলুম্বকালিমা বিদূরিত হইত। ইছলাম কখনও অন্ত ধৰ্ম্মের প্রতি শক্ৰতাচরণ করে নাই, দুঃখের বিষয়, খৃষ্টধৰ্ম্ম তাহাকে শক্র মধ্যে পরি গণিত করে । এই শক্রতার ফলেই বহু যুদ্ধ, বহু হত্যা সংঘটিত হইয়াছে এবং সেই শক্রতার ফলেষ্ট ক্রছেড বা তথা কথিত ধৰ্ম্মযুদ্ধের অবতারণ হইয়াছিল। শাল মেনের মৃত্যু এবং তদীয় বংশধরগণের রাজত্বের অবসান কাল পর্যান্ত (অর্থাৎ পঞ্চম শতাব্দী হইতে ত্রয়োদশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত) সমগ্র যুরোপ খণ্ড অজ্ঞান-তমসায় সমাচ্ছন্ন ছিল। এই তিমির যুগে ইছলাম যখন ಇರ್ನ್ದ উত্তোলন করিয়াছিল, তখন অস্থা তাহার গতিরোধ করিবার জন্ত য়ুরোপ অতি ব্ল্যস্ত হইয়া উঠিয়াছিল। ইছলাম মানবকে সভ্যতাঁর নিম্নস্তর হইতে উচ্চস্তরে উঠাইতে চেষ্টা করিয়াছে। ইছলামের এই চেষ্টায় সমগ্র ধৰ্ম্মের সঙ্গনুভূতি প্রকাশ করা উচিত ছিল। ইছলাম এমন কোন কাৰ্য্য করে নাই, ঘাহাব জন্য অস্ত ধৰ্ম্মের অপ্রীতিকর হইতে পারে । হীন দৃষ্টি যুরোপ ইছলামকে সহায়তা না করিয়া পৃথিবীর উন্নতির পক্ষে ব্যাঘাত করিয়াছে। এই জন্ত খৃষ্ট ধৰ্ম্ম চিরকাল ইছলামের নিকট দায়ী থাকিবে। ইছলাম কাৰ্য্যকরী প্রশ্ৰ—ইছলাম কার্যকরা ধৰ্ম্ম । খৃষ্ট ধৰ্ম্মের স্তায় ইছলাম কুসংস্কার বা গোড়ামী পোষণ করে না। বর্ণের মালিন্য দোষে ইছলাম’ মহাপ্রভুর পথে যাইবার জন্য কাহাকেও বাধু৷
