পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ মোছলেম জগতের ইতিহাস । দেয় না। যুক্ত সাম্রাজ্যে বর্ণ লইয়া যেরূপ বিবাদ বিসম্বাদ উপস্থিত হয়, মোছলেমদিগের মধ্যে তাহা দুষ্ট হয় না। প্রাচীন কালে যখন ইছলাম দ্রুতগতিতে বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল, তখন খৃষ্ট ধৰ্ম্ম ঈর্ষার বশবৰ্ত্তী তষ্টয়া ইঙ্গর প্রতি কটুক্তি প্রয়োগে কুষ্ঠিত হয় নাই, সুবিধা ও সুযোগ বুঝিয়া ইছলামের বক্ষে তীক্ষ অসি চালনা করিতে সঙ্কুচিত হয় নাই। সদি ইছলামের নায় খৃষ্ট ধৰ্ম্ম সহ গুণ অবলম্বন করিত, তবে অচিরে সকলে ইহার সত্যতা ও মাহাত্মা উপলব্ধি করিতে পারিত। খৃষ্ট ধৰ্ম্ম অনায় ভাবে মোছলেম ধৰ্ম্মকে আক্রমণ করিয়া ইহার প্রতি অযথা কুৎসা প্রক্ষেপ করিয়াছে। বৃথা গালি বর্ষণ অৰ্ব্বাচীনতার কার্য্য। ইছলাম খৃষ্ট ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে আক্রমণ করিলে অভিযোগের কারণ হইত। এই সম্বন্ধে যুরোপ মোছলেমের নিকট শিক্ষা লাভ করিতে পারে। সাধারণ মোছলেম নৈতিক জীবনে সাধারণ ইংরেজ, ফরাসী ও জাৰ্ম্মাণ হইতে অনেক উন্নত । অ ! হজরত কেবল মাত্র যে প্রতিভাশালী পয়গম্বর ছিলেন তাহা নছে, তিনি মানব-কুলু-তিলক রাজশ্রেষ্ঠ ছিলেন। তিনি যে বলবতী আধ্যাত্মিক শক্তি রাপিয়া গিয়াছেন, তাহা দ্বার। তাছার মাহায্যের পরিচয় পাওয়া পায়। যখুন পৃথিবীর সাম্প্রদায়িক বিভাগ উঠিয়া বাইবে এবং মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ সংঘটিত হইবে, তখন জগৎ তাহার শ্রেষ্ঠত্ব আরও অধিক হৃদয়ঙ্গম করিতে সক্ষম হইবে । অন্যান্য যে সকল মহাপুরুষের আবির্ভাব হইয়াছে, তাহাদের অপেক্ষ তহার স্থান অতি উচ্চ । র্তাহার পূৰ্ব্বে যে সমস্ত ধৰ্ম্ম প্রচলিত ছিল এবং ঈশ্বর সম্বন্ধে লোকের ঘে ধারণা ছিল, ইছলামের ধারণ। তদপেক্ষ অতি उँछं, এমন কি বর্তমান কালেও েধারণা প্রচলিত আছে এবং শত শত বৎসর পরেও যে ধারণা প্রবর্তিত হইধে, ইছলাম তাহাদের সকলেরই আদর্শ থাকিবে }